ওজন কমাতে চাইলে প্রথমেই খাবার তালিকা থেকে বাদ যায় আলু। অনেকের ধারণা আলু খেলেই শরীরে মেদ জমে। কিন্তু এ ধারণা পুরোপুরি ঠিক না। ১০০ গ্রাম আলুতে ১ মিলিগ্রামেরও কম চর্বি থাকে। তাই রোজকার ডায়েটে আলু রাখাই যায়। আবার যাদের রক্তে শর্করার পরিমাণ বেশি তারাও আলু খেতে পারেন। সেই সাথে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে খাবার তালিকায় রাখুন আলু।
তবে আলু খাওয়া মানেই চিপস বা তেলে ভাজা আলু না। খোসা-সহ সিদ্ধ আলু অল্প তেলে ভেজে বা রান্না করে খাওয়া যেতে পারে। খোসা–সহ সিদ্ধ আলুতে আছে পর্যাপ্ত ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস, ফাইবার, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন ও ভিটামিন সি। এর প্রতিটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে জোরদার করার পাশাপাশি নানা অসুখের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। চলুন দেখে নেওয়া যাক আলুর পুষ্টিগুণ।
১.আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিকাল নিউট্রিশনে প্রকাশিত গবেষণাপত্র অনুযায়ী, আলুতে থাকা কার্বোহাইড্রেট রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। এর ফলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে।
২.সিদ্ধ আলুর রান্না নিয়ম করে খেলে শরীরের প্রদাহ কমে। ফলে আর্থারাইটিস জনিত বাতের ব্যথা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
৩.খোসা-সহ আলুর ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সঙ্গে সঙ্গে হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
৪.আলুর ভিটামিন-বি-৬ স্নায়ুতন্ত্র ও মস্তিষ্ককে কার্যকর রাখতে সাহায্য করে। ইউনিভার্সিটি অফ মেরিল্যান্ড মেডিক্যাল সেন্টারের পুষ্টি বিজ্ঞানিদের মতে, খোসা-সহ সিদ্ধ আলুর রান্না করা খাবার নিয়ম করে খেলে মানসিক চাপ, অবসাদ ও মনযোগ দিতে না পারার সমস্যা অনেকটা কমে।
৫.আলুতে যথেষ্ট পরিমাণে পটাশিয়াম আছে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে পটাশিয়াম কাজে লাগে। যারা নিয়মিত অল্প পরিমাণ আলু খান, তাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকে। আমেরিকার ইনস্টিটউট অফ ফুড রিসার্চের খাদ্য বিজ্ঞানীরা আলুতে থাকা এক বিশেষ উপাদান কুকোয়ামাইনস বিশ্লেষণ করে জেনেছেন, এই উপাদানটি রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
৬.খোসা-সহ সিদ্ধ আলুতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যাফেইক অ্যাসিড, ক্যারোটিনয়েড ও ফ্ল্যাভোনয়েডস নামে ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস থাকে। এ সবই আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারি। এইসব উপাদান মানুষকে সামগ্রিক ভাবে সুস্থ থাকতে ভূমিকা রাখে।
সূত্র: আনন্দবাজার