করোনার লক্ষণ দেখা দিলে আমরা পরীক্ষা করছি এবং সে অনুযায়ী চিকিৎসা করছি। সোয়াব টেস্টের মাধ্যমে করোনার স্যাম্পল কালেক্ট করা হয়। তবে অনেক সময় দেখা যায় পরীক্ষার ফলাফল ঠিক আসে না। করোনার সব লক্ষণ শরীরে থাকা সত্ত্বেও ফলাফল আসে নেগেটিভ।
যদিও রিপোর্ট ভুল দেওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম তবে এর সম্ভাবনা একেবারে ফেলে দেওয়া যায় না। ৩টি প্রধান কারণে করোনার লক্ষণ প্রকাশ পেলেও রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
দ্রুত টেস্ট:
করোনার লক্ষণ দুই থেকে চারদিনের মধ্যে দেখা দেওয়া শুরু করে। পুরোপুরি লক্ষণ দেখা দিতে অনেকের দুই সপ্তাহের মত সময় লাগতে পারে। অনেকেই দেখা যায় ভালোভাবে লক্ষণ না দেখা দিতেই টেস্ট করে এতে করে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
সঠিকভাবে পরীক্ষা না করা:
সাধারণত নাক থেকে এবং গলা থেকে স্যাম্পল গ্রহণ করা হয়। ভাইরাল লোডগুলো উপস্থিত থাকলে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তবে, যদি সংবেদনশীল কিউ-টিপের সাহায্যে সোয়াব নমুনা পরীক্ষাটি সঠিকভাবে পরিচালিত না হয়, তবে নমুনাটি পর্যাপ্ত পরিমাণে শ্লৈষ্মিক নিঃসরণ গ্রহণ করে না বা ভাইরাল লোড তৈরি না হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
নমুনা নষ্ট:
করোনা পুরো বিশ্ব বাসীর জন্য নতুন সংক্রমণ এবং পরীক্ষার পদ্ধতিগুলি পরিচালনা করার জন্য যথেষ্ট সময় এবং প্রচেষ্টা প্রয়োজন। ফলাফলটি আসতে ২৪ থেকে ২৮ ঘন্টা সময় লাগে। তবে সমস্যার বিষয় হলো নমুনা যদি সঠিক তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা না হয, আরএনএ সনাক্ত করতে ব্যবহৃত রাসায়নিকগুলি সঠিকভাবে কাজ করে না তাহলে ফলাফল নেগেটিভ আসতে পারে।
লক্ষণ থাকার পরে করোনা নেগেটিভ আসলে করণীয়:
আবারো বলছি কোন পরীক্ষার ফলাফল শতভাগ সত্য না। আপনার লক্ষণ থাকার পরেও যদি রিপোর্ট নেগেটিভ আসে সেক্ষেত্রে কিছুদিন কোয়ারেন্টিনে থাকুন, মাস্ক ব্যবহার করুন,সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলুন। এর পরে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন যিনি আপনাকে সঠিক গাইডলাইন দিবেন।
সূত্র: টাইমস অফ ইন্ডিয়া