শরীরের জন্য উপকারী খাবারের মধ্যে দুধ একটি। দুধকে বলা হয় সর্বগুণ সম্পন্ন খাবার। এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস, প্রোটিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি-১২, নিয়াসিন ও রিবোফ্লভিন। দুধের নানা পুষ্টিগুণ আপনাকে সুস্থ, সবল ও রোগমুক্ত রাখতে পারে। ডায়েটের ক্ষেত্রেও দুধের বিকল্প নেই। অ্যাসিডিটির সমস্যা, পিরিয়ডের সময় তীব্র যন্ত্রণা, কাজের স্ট্রেসে অস্থির অবস্থা- এসব সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে এক গ্লাস দুধ। প্রতিদিন মাত্র এক গ্লাস দুধ পানেই এমন অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারি আমরা। তবে সঠিক সময়ে দুধ খেতে হবে সেই সাথে সঠিক পদ্ধতি মেনে দুধ পান করতে হবে।
দুধ খাওয়ার সঠিক পদ্ধতি:
দুধ থেকে উপকার পেতে হলে কিভাবে দুধ খাওয়া যেতে পারে তা আগে জানতে হবে। আমরা যে মিল্কশেক খায় তা শরীরে খুব বেশি উপকারে আসে না। আয়ুর্বেদীয় নিয়ম অনুযায়ী আম, কলা,তরমুজ, টক জাতীয় কোন ফল দুধের সাথে মিশিয়ে খাওয়া ঠিক না। কলার সাথে দুধ মিশ্রিত করে খেলে বিষাক্ত পদার্থ গুলো শরীর থেকে বের হতে পারে না। এতে করে সর্দি, কাশি, অ্যালার্জির মত সমস্যা দেখা দেয়।
দুধ খাওয়ার সঠিক সময়:
শরীরে মাসল বানাতে চাইলে সকালে দুধ খেতে হবে। এছাড়া দুধ খাওয়ার উপযুক্ত সময় রাত। রাতে দুধ খেলে ঘুম ভালো হয়। যাদের নিদ্রাহীনতার সমস্যা আছে ওই সমস্যা থেকে দূরে থাকতে পারবেন। অনেকের বিশ্বাস সকালে দুধ খেলে হজমে সমস্যা হতে পারে কিন্তু উল্টো আপনাকে সতেজ একটা অনুভূতি দেবে। পাঁচ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের সকালে দুধ খেতে নিষেধ করা হয় কারণ এতে অ্যাসিডির সমস্যা হতে পারে। এছাড়া দুধের সাথে লবণাক্ত কোন খাবার যেমন নিমকি খাওয়া বাদ দিতে হবে।
আয়ুর্বেদীয় মতামত:
আয়ুর্বেদ মতে দুধ খাওয়ার উপযুক্ত সময় হলো সন্ধ্যা বেলা। এ সময়ে দুধ খেলে হজম প্রক্রিয়া তরান্বিত হয়।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, ঘুমাতে যাওয়ার দুধে সামান্য হলুদ মিলিয়ে খেলে একদিকে যেমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে তেমনি হজমেও সহায়তা করবে।