তাপমাত্রা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। তাই, গরম থেকে বাঁচতে প্রয়োজনীয় সাবধানতা নেওয়ারও সময় এসে গেছে। অত্যধিক গরম থেকে বাঁচতে ও সুস্থ থাকতে সর্বপ্রথমে খাদ্যের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। কারণ খাওয়ার অভ্যাসের পরিবর্তন কিছুটা হলেও গরম থেকে আমাদের বাঁচাতে পারে। তাই, কিছু নির্দিষ্ট খাদ্য এই রমজানের সময় আপনার ডায়েটে অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। রসালো ফল এবং শাকসবজির মতো খাবারগুলি গ্রহণের মাধ্যমে ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচা যায়। পাশাপাশি শরীরে খনিজ ও পুষ্টির ঘাটতিও দূর করা যায়। তাহলে দেখে নিন এই রমজানে আপনার ডায়েটে কী কী খাবার অন্তর্ভুক্ত করবেন।
পানি
তৃষ্ণার্ত বোধ করলে তবেই পানি পান করবেন, এমনটা একেবারেই করবেন না। ডিহাইড্রেশন বা অতিরিক্ত ক্লান্তি থেকে বাঁচতে ইফতারের পর বার বার পানি পান করুন। ইফতারে ফ্রেশ জুস এই সময় ফলের রস খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য সত্যিই খুব উপকারি। ফলের রস গরমের তাপ থেকে স্বস্তি দিতে সহায়তা করে। তবে চিনিযুক্ত ফলের রস পান করা এড়িয়ে চলুন।
তরমুজ
গ্রীষ্মকাল আসা মানেই বাজারে তরমুজের ছড়াছড়ি। গরমের তাপ থেকে স্বস্তি দেয় তরমুজ। এটি শরীরকে শীতল ও হাইড্রেট রাখে। তরমুজে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে। এছাড়াও, তরমুজে লাইকোপিন রয়েছে যা ত্বকের কোষকে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির হাত থেকে রক্ষা করে। শুধু তরমুজ নয়, এর খোসাও খুব উপকারি, গুণ জানলে আপনি চমকে উঠবেন!
টমেটো
টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি রয়েছে। এছাড়াও, এতে লাইকোপিনের মতো উপকারি ফাইটোকেমিক্যালও রয়েছে, যা দীর্ঘস্থায়ী রোগ বিশেষত ক্যান্সার নিরাময়ে সহায়তা করে।
ফল ও শাকসবজি
রমজানের গরমে স্বস্তি পেতে ইফতারে ফল ও শাকসবজি বেশি করে খান। ফল এবং শাকসবজি সহজে হজম হয় এবং সাধারণত পানির পরিমাণ বেশি থাকে। টাটকা ফল ও ভেজিটেবল স্যালাড আপনাকে হাইড্রেট এবং স্বাস্থ্যকর রাখতে সহায়তা করতে পারে।
জুকিনি
রমজানের গরমে একটু স্বস্তি পেতে আপনি ইফতারে জুকিনি খেতে পারেন। এতে পেকটিন নামক ফাইবার রয়েছে, যা হৃৎপিণ্ডকে ভাল রাখে ও কোলেস্টেরল কমায়।
লেবুর সাথে পুদিনা
এক গ্লাস পুদিনা পানিতে দুই ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে ইফতারে পান করুন, স্বাস্থ্যের অনেক উপকার হবে। এটি লিভার পরিষ্কার এবং বিপাককে শক্তিশালী করে।
টক দই
প্রোটিন সমৃদ্ধ দই গরমে আমাদের স্বাস্থ্যের অনেক দিক থেকে উপকার করে। সেহেরী ও ইফতারের মেন্যুতে প্রতিদিন প্রোটিন সমৃদ্ধ দই রাখার চেষ্টা করুন। এতে থাকা প্রোটিন আমাদের খিদে কমায়, যার ফলে নোনতা এবং উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত স্ন্যাকস খাওয়ার ইচ্ছা কমে। এর থেকে পাচনতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সহায়ক ব্যাকটেরিয়া প্রোবায়োটিকও মেলে।
শসা
রমজানের জনপ্রিয় ফলের তালিকায় শসা অন্যতম। শসায় প্রচুর পরিমাণ পানি থাকার কারণে, এটি আমাদের শরীরকে ঠান্ডা রাখে। এতে ফসফরাস, জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম ও আরও কয়েকটি খনিজ পদার্থের ভালো উৎস হিসেবে বিবেচিত এবং এই প্রত্যেকটা ফল আমাদের চলন বিলে বেশি জম্মে।