1. admin@ddnnewsbd.com : admin : ddn newsbd
  2. mamahbubulalom@gmail.com : mahbubul alom : mahbubul alom
শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৫৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
পাবনা-৩ আসনে এনসিপি থেকে মনোনয়ন চান খন্দকার লেবু ৪৮ ঘণ্টার আল্টেমেটাম বিচারকদের, দাবি না মানলে কলম বিরতির হুঁশিয়ারি নির্বাচনের আগেই গণভোট—৩ উপদেষ্টার অপসারণ দাবি ৮ দলের আওয়ামী লীগ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না: প্রধান উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যুক্তরাজ্যের উন্নয়নমন্ত্রীর বৈঠক: স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত ভাঙ্গুড়ায় সরকারি জামাল উদ্দিন কলেজ ছাত্রদলের প্রতিবাদ মিছিল আগাম পোস্টার সরানোর নির্দেশ, না মানলে কঠোর ব্যবস্থা ভবিষ্যতে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে, তেমন একটি রায় প্রত্যাশা করছি: চিফ প্রসিকিউটর সংসদ ও গণভোট একই দিনে:ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার রায় ১৭ নভেম্বর

তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ বাবা-মায়ের সম্পত্তির সমান ভাগ পাবে

অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেটের সময় : শনিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২০
  • ৫৯৩ সময় দর্শন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃএখন থেকে তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়ারা) মানুষ যেন বাবা-মায়ের সম্পত্তি থেকে সমান ভাগ পায় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে কাজ করতে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন। প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। গণভবন থেকে অনলাইনে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন তিনি। সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব ড. খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “এখন থেকে তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়ারা) মানুষরা যেন পিতা-মাতার সম্পত্তি থেকে জমির সমান ভাগ পায় সেটি নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা দেখব তারা যেন বাবা-মায়ের সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত না হন।’ প্রধানমন্ত্রী বিষয়টিতে বারবার গুরুত্ব দিয়েছেন। কেউ তৃতীয় লিঙ্গের হলে তিনি কিভাবে জমির ভাগ পাবেন সেটি মুসলিম উত্তরাধিকার আইনে বলা আছে। কিন্তু অন্য ধর্মের ক্ষেত্রে সেটি বলা নেই, সে বিষয়েই প্রধানমন্ত্রী অনুশাসন দিয়েছেন যাতে কেউ বঞ্চিত না হন।” এ ছাড়া মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এখন থেকে কেউ জমি কিনলে রেজিস্ট্রি করার আট দিনের মধ্যেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে (অটোমেটিক) নামজারি হয়ে যাবে। এমন আইন করে জমি রেজিস্ট্রেশন ও নামজারি কার্যক্রম সমন্বয় প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। বর্তমানে ১৭টি উপজেলায় এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এক বছরের মধ্যে এটি সারা দেশে শুরু হবে।

 

এর ফলে হয়রানি ও মামলার সংখ্যা কমবে। জমি রেজিস্ট্রেশন ও নামজারি বিষয়কে সহজ করে দুর্ভোগ কমাতেই এই সমন্বয় করা হয়েছে বলে জানান খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব জানান, চলতি বছরের প্রথমদিকেই কীভাবে জমি রেজিস্ট্রেশন ও নামজারি এগুলোকে আরো কমফোর্ট করা যায়, সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছিলেন। মানুষের যাতে হয়রানি না হয়, সময় যেন না লাগে। এখনকার সিস্টেমটি হলো ভূমি রেজিস্ট্রেশন ও নামজারি আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে সাব-রেজিস্ট্রার অফিস এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন উপজেলা সার্কেল ভূমি অফিস থেকে সম্পন্ন হতো। দুটি মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকার ফলে সব সময় নামজারি করা কঠিন ছিল। এ কারণে দীর্ঘসূত্রতা ছিল এবং রেজিস্ট্রেশনেও অস্পষ্টতা ছিল। যেকোনো জমি যে কেউ রেজিস্ট্রেশন করতে পারত। খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, এখন থেকে সাব-রেজিস্ট্রার অফিস ও এসিল্যান্ড অফিসের মধ্যে একটা ইন্টারনাল সফটওয়্যার থাকবে। বাংলাদেশের সব এসিল্যান্ড অফিসে চার কোটি ৩০ লাখ রেকর্ড অনলাইনে চলে এসেছে। এখন থেকে সাব-রেজিস্ট্রার অফিস ও এসিল্যান্ড অফিস একজন অপরজনের সার্ভারে ঢুকতে পারবে। যখন কারো কাছে জমি রেজিস্ট্রেশনের জন্য যাবে, তখন সাব-রেজিস্ট্রার সঙ্গে সঙ্গে রেজিস্ট্রি করে দেবেন না। তিনি অনলাইনে এসিল্যান্ডের অফিস থেকে রেকর্ড অব রাইটস পরিসংখ্যান জানবেন। ‘এতদিন দুটি দলিল করতে হতো। এখন থেকে তিনটি দলিল করতে হবে। বাড়তি একটা এসিল্যান্ড অফিসও পাবে।

 

যেহেতু এসিল্যান্ড দলিল অনলাইনে পেয়ে যাচ্ছেন এবং তাঁর কাছ থেকেই জমির ভেরিফিকেশন করে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে। সুতরাং এসিল্যান্ডের আর বাড়তি কিছুই লাগবে না। তিনি অটোমেটিক্যালি সফটওয়্যার ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমেই মিউটেশন (নামজারি) কমপ্লিট করবেন। এ ক্ষেত্রে কাউকে ডাকতে হবে না। এটা সর্বোচ্চ আট দিন সময় দেওয়া হয়েছে। তবে আট দিনও সময় লাগবে না। এই আট দিনের মধ্যে অটোমেটিক্যালি নামজারি হয়ে যাবে। ১৭টি উপজেলায় ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে।’ যোগ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, অনেকে জমি রেজিস্ট্রেশন করেন, মিউটেশন করেন, কিন্তু রেকর্ড করেন না। এখন থেকে রেকর্ডটাও করতে হবে। এসিল্যান্ডের দায়িত্ব থাকবে মাসিক রিপোর্ট দেবেন কতটা মিউটেশন হলো এবং কতটা রেকর্ড হলো। নইলে খাজনা দিতে গেলে সমস্যা হয় এবং অন্যান্য অনেক সমস্যা হয়। এ ছাড়া আজকের বৈঠকে ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট : বাংলাদেশে অগ্রগতি প্রতিবেদন-২০২০’ সম্পর্কে অবহিতকরণ, বাংলাদেশ গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশন-এর আঞ্চলিক অফিস স্থাপন সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Smart iT Host