1. admin@ddnnewsbd.com : admin : ddn newsbd
  2. mamahbubulalom@gmail.com : mahbubul alom : mahbubul alom
শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:২৯ পূর্বাহ্ন

নাটোরে আমনের আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে

ডিডিএন নিউজ ডেস্ক:
  • আপডেটের সময় : শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৬ সময় দর্শন

নাটোর জেলায় সমৃদ্ধির জানান দিচ্ছে আমনের মৌসুম। ৭৬ হাজার ৮৮৫ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে জেলায় ৭৬ হাজার ৯৯৭ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের আবাদ করা হয়েছে। অর্থাৎ ১১২ হেক্টর অতিরিক্ত জমিতে রোপা আমনের আবাদ হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, খরিপ-২ মৌসুমে জেলায় রোপা আমনের মোট ৭৬ হাজার ৯৯৭ হেক্টর আবাদী জমির মধ্যে সর্বোচ্চ সিংড়া উপজেলায় আবাদ হয়েছে ২৩ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে।

এছাড়া বড়াইগ্রামে ১৬ হাজার ৭৫৪ হেক্টর, নাটোর সদর উপজেলায় ১০ হাজার ৬১০ হেক্টর, লালপুরে নয় হাজার ১৮৫ হেক্টর, বাগাতিপাড়ায় ছয় হাজার ৩৭৩ হেক্টর, গুরুদাসপুরে ছয় হাজার ৭৮০ হেক্টর এবং নলডাঙ্গা উপজেলায় তিন হাজার ৬৯৫ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ করা হয়েছে। আবার আবাদী জমির মধ্যে ৭০ হাজার ৬৪৬ হেক্টরে উচ্চ ফলনশীল জাত, পাঁচ হাজার ৭৪৬ হেক্টরে হাইব্রিড এবং ৬০৫ হেক্টরে স্থানীয় জাতের আমন ধান চাষ করা হয়েছে।

সূত্রটি আরও জানিয়েছে, কৃষকদের প্রণোদিত করতে রাজস্ব খাতের আওতায় ২০২ জন কৃষককে এবং রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ছয়জন কৃষককে তাদের এক বিঘা জমি চাষে প্রয়োজনীয় বীজ ও সার সরবরাহ করে প্রদর্শনী খামার স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া পার্টনার প্রকল্পের আওতায় ১৬ জন কৃষকের দুই একর জমিতে প্রদর্শনী খামার স্থাপন করা হয়েছে। এসব খামারে উপকারভোগী কৃষকবৃন্দ ছাড়াও পাশের এলাকার কৃষকবৃন্দ ব্রি-৯০, বিনা-২৬ ছাড়াও প্রায় নতুন উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল জাতের ব্রি-১০৩ জাতের ধানের উৎপাদন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করতে পারছেন নিবিড়ভাবে।

সরেজমিনে দেখা যায়, রাস্তার দু’ধারে, বিলের মধ্যে এখন শুরু সবুজ ধানের গাছ আর সদ্য সোনালী বর্ণ ধারণ করা ধানের সমারোহ। দিগন্ত বিস্তৃত সবুজ-সোনালীর মাঠ সমৃদ্ধির জানান দিচ্ছে। সবুজ ক্ষেতে গাছের পাতা ভেদ করে ধানের গুচ্ছ কুশি উঁকি দেওয়ার অপেক্ষায় আছে। আর আগাম জাতের ধানের ক্ষেত সোনালী বর্ণ ধারণ করে ধানের ভাড়ে নুব্জ হয়ে পড়ছে। এসব ধান দুই সপ্তাহ পর থেকে কাটা শুরু হবে। তবে বিলের চাষাবাদ দেরিতে শুরু হওয়ায় এসব ধান কাটাও হবে দেরিতে। চলতি মৌসুমে ধানের ফলন চার লাখ টন ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।

হালতি বিল অধ্যুষিত বাশিলা এলাকার কৃষক এম আরিফুল ইসলাম চলতি মৌসুমে পাঁচ বিঘা জমিতে রোপা আমন ধান আবাদ করেছেন। এর মধ্যে তিন বিঘা পানিতে নিমজ্জিত হয়ে বিনষ্ট হয়েছে। অবশিষ্ট দুই বিঘাতে আছে উচ্চ ফলনশীল ব্রি-৭৫ এবং স্থানীয় জাতের জিরাশাইল।

নাটোর সদর উপজেলা পৌরসভার মোহনপুর এলাকার আদর্শ কৃষক আহমেদুল কবীর দুই বিঘাতে হাইব্রিড ও দুই বিঘাতে শম্পাকাটারি ধান আবাদ করেছেন। উঁচু জমি হওয়াতে আগাম ধান করতে পেরেছেন তিনি। আগামী সপ্তাহে ধান কাটা যাবে বলে জানান।

শষ্য ভাণ্ডার খ্যাত চলনবিল অধ্যুষিত সিংড়া উপজেলার আদর্শ কৃষক জুলফিকার আনাম তারা কুমিড়া এলাকায় সতের বিঘা জমিতে রোপা আমন চাষ করেছেন। চাষাবাদকৃত জমির বেশীর ভাগটাই উন্নতমানের সুগন্ধি ধান। কিছুদিনের মধ্যে ধানের কুশি বের হবে বলে জানান কৃষক তারা। এবারের চাষাবাদে আবাদের পরিবেশ আর আবহাওয়া অনুকূলে, ফলনও ভালো হবে বলে আশাবাদী তিনি।

সিংড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খন্দকার ফরিদ হাসান বলেন, সমৃদ্ধ ফলনের জন্য কাজ করছে কৃষি বিভাগ। উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ ব্লকগুলোতে সরেজমিনে যেয়ে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।

নাটোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো. হাবিবুল ইসলাম খান বাসস’কে বলেন, উন্নত জাতের বীজের প্রচলন, সহজলভ্যতা এবং ধানের চড়া দামের কারণে কৃষকরা আমন ধানের আবাদ বাড়িয়েছেন। প্রত্যাশিত ফলন পেতে কৃষি বিভাগ নিয়মিত মাঠ পর্যবেক্ষণ করছে। আশাকরি এবারের ফলন হবে আশাতীত।

সূত্র: বাসস

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Smart iT Host