পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার অষ্টমণিষা বাজারে গভীর রাতে পাঁচটি সোনার দোকান ও একটি বাড়িতে সংঘবদ্ধ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত দু’টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অষ্টমণিষা বাজারের রতন কর্মকার, তপন কর্মকার, উত্তম কর্মকার, ইউসুফ আলী ও আত্তাব আলীর সোনার দোকানে দুর্বৃত্তরা তালা ভেঙে ঢুকে প্রায় ৩০ ভরি সোনার গহনা ও ৫ লাখ টাকা লুট করে। এরপর তারা রতন কর্মকারের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তার স্ত্রী ও ছেলে রঞ্জন কর্মকারকে মারধর করে প্রায় ১০ ভরি সোনা ও ১৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়।
ভুক্তভোগীদের দাবি, মোট ৪০ ভরি স্বর্ণ এবং নগদ ২০ লাখ টাকা লুট করে ডাকাতদল।
রঞ্জন কর্মকার জানান, ৮–৯ জনের একটি সশস্ত্র দুর্বৃত্তদল প্রথমে দোকানের তালা ভেঙে গহনা লুট করে। পরে তারা বাড়িতে ঢুকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সোনা ও নগদ টাকা নিয়ে যায়। তার মা শরীরের গহনা খুলে দিতে সময় নিলে দুর্বৃত্তরা তাকে মারধর করে। রঞ্জন বাধা দিতে গেলে তাকেও পিটিয়ে আহত করা হয়। তাদের হাতে দুইটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র ছিল বলেও তিনি জানান।
স্থানীয়রা আরও জানান, দুর্বৃত্তরা একটি স্পিডবোটে করে অষ্টমণিষা বাজারে এসে ডাকাতি শেষে একই নৌযানে গুমানী নদীর ভাটির দিকে পালিয়ে যায়।
ভাঙ্গুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শফিকুল ইসলাম জানান, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তবে কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তা এখনও জানা যায়নি। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।