1. admin@ddnnewsbd.com : admin : ddn newsbd
  2. mamahbubulalom@gmail.com : mahbubul alom : mahbubul alom
বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:১৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ভাঙ্গুড়ায় সারের দাবিতে কৃষকদের বিক্ষোভ, কৃষি প্রণোদনা নিয়েও তীব্র ক্ষোভ সত্য ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমেই গুজব প্রতিহত করা সম্ভব: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নির্বাচন হলে দেশের পরিস্থিতি স্থিতিশীল হবে: সেনাসদর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে একদিনে ১০ জনের প্রাণ গেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিল প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা দিলো সরকার বিদেশি দুটি পিস্তল ও ইয়াবাসহ স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী গ্রেপ্তার ভাঙ্গুড়ায় রাস্তা ধ্বংস করে পুকুর খনন ও সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ পাবনার চারটি আসনে ধানের শীষ পেলেন যারা একই আসনে বিএনপি-জামায়াতের প্রার্থী দুই সহোদর ২৩৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা

সাপও বোঝে ভালোবাসা

অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেটের সময় : শনিবার, ১৩ মার্চ, ২০২১
  • ২২২ সময় দর্শন

ত্রিশ বছর বয়সি যুবক অভিষেক দাস। কলকাতার বেহালার আদর্শনগরের বাসিন্দা। এই যুবক সাপকে জব্দ করেন না বরং ভালোবেসে বশে নিয়ে আসেন। এলাকায় তার পরিচয় স্নেক হান্টারম্যান হিসেবে। তিনি জানিয়েছেন সাপকে বশে আনা কঠিন কাজ। তবে সাপের ক্ষতি না করলে বিষধর সাপও মানুষের ভালোবাসা বুঝে। রাজগোখরা বা কালাচ সাপকেও পোষ মানানো যায়।

ছোট থেকেই সাপ নিয়ে গবেষণা করার শখ অভিষেকের। তাই বেহালা হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক পাসের পরই সাপ নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। পড়াশোনার সঙ্গে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে সাপ নিয়ে কুসংস্কার দূর করার কাজেও যোগ দেন অভিষেক।

তিনি জানান, জলঢোড়া, বোড়া, কালাচ, কিং কোবরা, গোসাপসহ দেশে যত প্রজাতির সাপ রয়েছে সব ধরনের সাপই উদ্ধার করেছি। এই সাপ উদ্ধার করে কখনো স্থানীয় বন দপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হয়। কখনো আবার জঙ্গলে সাপেদের পরিবেশে ছেড়ে দেওয়া হয়। সাপেদের বশ করতে গিয়ে অনেকবার বিপদের মুখেও পড়তে হয়েছিল তাকে। তবে সবচেয়ে বড় ঝুঁকির কাজ ছিল ২০১৮ সালে।

অভিষেক জানান, সেই সময় পূজা ছিল। ষষ্ঠীর রাত ছিল। বেহালার একটি ঘরে কালাচ ঢুকে পড়েছিল। তিন বছরের ঘুমন্ত শিশুর বালিশের তলায় ছিল ওই সাপ। স্থানীয়রা আমাকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল। বাচ্চা ও সাপ দুজনকে বাঁচানো আমার দায়িত্ব ছিল। একটু ভুল হলে বাচ্চার প্রাণ চলে যেত। অবশেষে সাপ এবং শিশু দুজনকে নিরাপদে বের করা গিয়েছিল। সেদিনের মতো ঝুঁকি আর কখনো পড়তে হয়নি। অভিষেকের বাবা সুনীল দাস পেশায় অটোচালক ছিলেন। ওয়াইল্ড লাইফ নিয়ে পড়াশোনা করার জন্য ছেলেকে বিদেশ পাঠানোর সামর্থ্য তার ছিল না। তবে অভিষেক হার মানেননি। তিনি বলেন, দেশে সাপেদের নিয়ে লেখা সেরকম বই নেই। বিদেশি ওয়াইল্ড লাইফ নিয়ে লেখা বইগুলোই ভরসা। কিন্তু ওইসব বই অনেক দামি। অটোচালক বাবার পক্ষে এত দামি বই কেনার ক্ষমতা ছিল না। তবুও বাবা অনেক কষ্ট করে আমার জন্য ওইসব দামি বই কিনে দিত। অনলাইনে সাপেদের ওপর লেখাগুলোও নিয়মিত পড়তে থাকি। তবে শুধু বই পড়ে সাপেদের বশীকরণ করা যায় না। তাই অভিষেক বেদিয়াদের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। দীর্ঘদিন বেদিয়াদের সঙ্গে থেকে সাপেদের সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য জানতে পারেন।

তার কথায়, কীভাবে কোন সাপকে বশে আনতে হবে তা জানতে বেদিয়ারা আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন। এখন অভিষেকের কাছে অনেক বেদিয়া কাজ করেন।

সাপের সন্ধানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত চষে বেড়ান এই যুবক। বর্তমানে ন্যাশনাল জিওগ্রাফি এবং ইন্টারন্যাশনাল স্নেক বাইট ইনোসেটিভ গ্রুপের সঙ্গে কাজ করছেন এই সাপ শিকারি। এ দেশে সাপ নিয়ে কাজ করার সুযোগ অবশ্য কম। বিদেশ থেকে একাধিকবার কাজ করার সুযোগ অভিষেকের এসেছে। কিন্তু অভিষেক দেশে থেকে কাজ করতে চান।

তার কথায়, বিদেশে ওয়াইল্ড লাইফ একটা বড় সম্মানীয় পেশা। এখানে অবশ্য এই পেশায় ওত বড় প্ল্যাটফর্ম নেই। তাই দেশের অনেক বন্যপ্রাণপ্রেমীরা বিদেশে গিয়ে কাজ করছেন। কিন্তু আমি দেশে থেকে কাজ করতে চাই। দেশের মানুষকে এই ধরনের কাজে আরো উদ্বুদ্ধ করতে চাই। সূত্র ভারতে কলকাতার কাগজ ‘সংবাদ প্রতিদিন’।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Smart iT Host