1. admin@ddnnewsbd.com : admin : ddn newsbd
  2. mamahbubulalom@gmail.com : mahbubul alom : mahbubul alom
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:১৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ইন্টারনেট বন্ধ করে সহায়তা: সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ‘তামাশার নির্বাচন’ থেকে বেরিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপনের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে লন্ডন নেয়া হচ্ছে ভাঙ্গুড়ায় বসতবাড়িসহ ৫ স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি ভাঙ্গুড়ায় নকল দুধ তৈরির অপরাধে যুবকের কারাদণ্ড মসজিদের ফান্ডের টাকা ব্যয়ের সঠিক নিয়ম কি? গণভোট ও সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে ১ লাখ ৫৫ হাজার প্রবাসীর নিবন্ধন ট্রাইব্যুনালে ক্ষমা চাইলেন জেড আই খান পান্না সরকারের সাথে না বসেই ভোজ্যতেলের দাম বাড়নো—ব্যবস্থা নেবে সরকার: বাণিজ্য উপদেষ্টা আগামী নির্বাচনে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

ঋণ পরিশোধে বাড়তি দুই বছর পর্যন্ত সময় পাবেন ব্যবসায়ীরা

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেটের সময় : সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১
  • ৫৫৬ সময় দর্শন
করোনায় ক্ষতিগ্রস্তরা ঋণ শোধ না করলে খেলাপিমুক্ত থাকার সুবিধা বাড়বে না

ঋণের কিস্তি পরিশোধ না করলে কোনো ঋণ খেলাপি করা যাবে না—এমন প্রজ্ঞাপনের মেয়াদ আর বাড়ছে না বলে স্পষ্টভাবে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের ঋণ শোধের জন্য অন্যভাবে সুবিধা দেওয়া হয়েছে। নতুন সুবিধায় ব্যবসায়ীরা সর্বোচ্চ দুই বছর পর্যন্ত ঋণ শোধের সুযোগ পাবেন। যদিও চলমান ঋণ ও প্রণোদনার আওতায় বিতরণ করা ঋণে এ সুবিধা মিলবে না। রবিবার এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অর্থনীতিতে করোনা ভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব সহনীয় মাত্রায় রাখতে গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সব ধরনের ঋণ শ্রেণীকরণে ডেফারেল বিলম্বিতকরণ সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। এখন চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ সুবিধা আর না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে ঋণের কিস্তি শোধ সহজ করতে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে কেবল মেয়াদি ঋণের অবশিষ্ট মেয়াদের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ সময় বাড়ানো যাবে। এ উপায়ে বাড়ানো সময়সীমা কোনোভাবেই দুই বছরের বেশি হবে না। করোনার প্রভাব ও বকেয়া স্থিতির পরিমাণ বিবেচনায় এমন সুবিধা কেবল গত ১ জানুয়ারি বিদ্যমান অশ্রেণিকৃত তথা নিয়মিত ঋণের ক্ষেত্রে দেওয়া যাবে। এছাড়া অন্যান্য ঋণ আদায়ের ক্ষেত্রে বিদ্যমান নীতিমালা এবং বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় বিতরণ করা ঋণ আদায়ের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট নীতিমালা অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বিশেষ সুবিধা তুলে নেওয়ায় এখন আগের নিয়মেই সবাইকে কিস্তি পরিশোধ করতে হবে। তবে ব্যাংক গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ঋণ শোধের মেয়াদ বাড়ানোর ফলে ব্যবসায়ীদের জন্য সুবিধা হবে। নতুন সুবিধায় ব্যবসায়ীরা তাদের বকেয়া মেয়াদ এবং ঐ মেয়াদের অর্ধেক সময় পাবেন। অবশ্য বাড়তি এই মেয়াদ দুই বছরের বেশি হতে পারবে না বলেও বাংলাদেশ ব্যাংক বলে দিয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, কোনো ব্যবসায়ী যদি ছয় বছর মেয়াদি ১০০ কোটি টাকার ঋণ নেন এবং ইতিমধ্যে পাঁচ বছরে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে ২০ কিস্তিতে সুদ বাদে ৮৫ কোটি টাকা পরিশোধ করেন, তাহলে স্বাভাবিক নিয়মে সুদ বাদে বাকি টাকা চার কিস্তিতে শোধ করার কথা।

নতুন সুবিধায় এখন ঐ ব্যবসায়ী বাকি ১৫ কোটি টাকা পরিশোধের জন্য এক বছরের সঙ্গে এক বছরের অর্ধেক, অর্থাত্ ছয় মাস বাড়তি সময় পাবেন। ঐ ব্যবসায়ী এখন দেড় বছরে বা ত্রৈমাসিক হিসেবে ছয় কিস্তিতে বাকি ঋণ পরিশোধ করার সুযোগ পাবেন। আবার কোনো ব্যবসায়ীর বকেয়া ঋণের মেয়াদ যদি পাঁচ বছর থাকে, তাহলে তিনি পাঁচ বছরের সঙ্গে বাড়তি দুই বছর সময় পাবেন। কারণ, দুই বছরের বেশি সময় বাড়ানো যাবে না। এই সুবিধা পাওয়ায় করোনাকালে ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর আয় কমলেও ঋণ পরিশোধে কিছুটা স্বস্তি পাবে।

এ বিষয়ে মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাহবুবুর রহমান বলেন, নতুন এই নিয়মের ফলে সবার জন্যই ভালো হবে। ব্যবসায়ীরা অনেক সুবিধা পাবেন। আবার ব্যাংক থেকে যারা অবৈধভাবে সুবিধা নিতে চায়, তারা সেটা নিতে পারবে না। এতে ব্যাংকগুলোও সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবে। এসব বিবেচনায় নতুন সিদ্ধান্ত বাস্তবভিত্তিক হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

অর্থনীতিতে করোনা ভাইরাসের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় ২০২০ সালে ঋণ পরিশোধ না করেও খেলাপিমুক্ত থাকার সুযোগ পেয়েছেন ঋণগ্রহীতারা। গত বছরের মার্চ মাসে এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায় যে, জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত কেউ কিস্তি না দিলেও খেলাপি করা যাবে না। পরে দুই দফার এই নির্দেশনার কার্যকারিতা বাড়িয়ে ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়। ফলে অপরিশোধিত ঋণের মেয়াদ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বেড়ে যায়। ব্যাংকিং পরিভাষায় এটাকে ‘ডেফারেল সুবিধা’ বলা হয়। মেয়াদি ঋণের পাশাপাশি চলতি মূলধন ঋণেও গত বছর এই সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। আর এই সুবিধা নিয়ে অনেক গ্রাহক যাদের ঋণ পরিশোধের সামর্থ্য আছে, তারাও ঋণ পরিশোধ করছেন না। আর এ কারণেই সুবিধার মেয়াদ না বাড়াতে ব্যাংকারদের জোরালো অবস্থান ছিল। গত বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে ব্যাংকের এমডিদের সভায় সেটার প্রতিফলন দেখা যায়।

জানা গেছে, গত বছরের ঐ বিশেষ সুবিধার মেয়াদ আরো ছয় মাস বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে এবং সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে দাবি জানিয়েছিলেন ব্যবসায়ী নেতারা। তাতে সাড়া না পেয়ে তিন মাস এই সুবিধা বাড়াতে বলেন। তবে সেসব দাবি নাকচ করে দিয়ে মেয়াদ না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল বাংলাদেশ ব্যাংক।

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Smart iT Host