একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে উপদেষ্টা ও তার পরিবারকে জড়িয়ে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর অভিযোগ এনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।মঙ্গলবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে দেওয়া পোস্টে তিনি এ অভিযোগ করেন।
আসিফ মাহমুদ লেখেন, ‘কোর্টের মারপ্যাঁচে এবং সরকারি সিদ্ধান্তে মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও মেয়র হতে না পেরে ইশরাক ভাই ও কায়কোবাদ সাহেব জোট বেঁধে তার দখলকৃত টিভি দিয়ে এসব প্রোপাগান্ডা ছড়ানোতে নেমেছেন। সেখানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হত্যা মামলার এক আসামিকে নিয়ে এসে ভিকটিম হিসেবে উত্থাপন করা হচ্ছে, সেলুকাস।’
ফেসবুক পোস্টে উপদেষ্টা আরো দাবি করেন, ‘মুরাদনগরে তিন খুনের ঘটনায় একজন অভিযুক্ত। ঘটনার পর সামাজিক মাধ্যমে উল্লাস প্রকাশ করতেও দেখা যায় তাকে। অথচ এই ঘটনায়ও আমার নাম জড়ানো হল।’
আসিফ মাহমুদ লিখেছেন, ‘গত তিন মাস ধরে আমি বা আমার পরিবারের কেউ এলাকায় যাইনি। ভিকটিমও প্রথম দিকে আমাদের নাম নেয়নি। কায়কোবাদ সাহেবের লোকজন এক মাস পর তাকে দিয়ে এসব বলাচ্ছে।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘মিডিয়া দখলে থাকলে কী না করা যায়? থানা ভাঙচুর, হত্যা মামলার আসামি, মার্ডার করে উল্লাস করা সবাই এখন ভিকটিম, আর আসিফ মাহমুদ ভিলেন।’
নিজেকে একজন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হিসেবে উল্লেখ করে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘আমার না আছে এস্টাবলিশমেন্টের ব্যাকআপ, না আছে অর্থনৈতিক ভিত্তি।’
তিনি আরো বলেন, ‘শুধু মানুষের জন্য কাজ করতে চেয়েছি, কিন্তু সেটাও আর সম্ভব হবে বলে মনে হচ্ছে না। মাফিয়াদের জয়জয়কার চলুক। কিন্তু মানুষের হয়ে কাজ করতে গিয়ে একজন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হয়েও মহা ক্ষমতাশালীদের শত্রু বানিয়েছি।’
মুরাদনগরে তাঁর এমপি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা থেকেই কায়কোবাদ পরিবার বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলেও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
সূত্র: বাসস