যুক্তরাষ্ট্রের নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জন ব্লিনকেনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন নতুন। এক চিঠিতে অভিন্নিদন জানিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের সবার জন্য শান্তি, উন্নয়ন ও সুরক্ষার সাধারণ লক্ষ্য অর্জনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গত মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) মার্কিন সিনেট কর্তৃক মন্ত্রিপরিষদে অ্যান্টনি জন ব্লিনকেনের মনোনয়নের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্ককে একটি অনন্য অংশীদারিত্ব হিসেবে অভিহিত করে মোমেন বিদ্যমান সম্পর্ককে আরও জোরদার করতে সাধারণ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এবং অর্জিত অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি অর্জন করেছে তার জন্য নতুন মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছার উপর জোর দেন।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, নতুন মার্কিন প্রশাসন ন্যায় বিচার ও আইনের শাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যায় দোষী সাব্যস্ত পলাতক খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে দেবে।
চিঠির মাধ্যমে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জন ব্লিনকেনকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে অংশ নিতে বাংলাদেশ সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়।
মোমেন আশা প্রকাশ করেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফরে বহুক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ যে অভাবনীয় উন্নতি অর্জন করেছে তার একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ মিলবে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে জোরালো রাজনৈতিক সমর্থন ও মানবিক সহায়তার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানিয়ে মোমেন আশা প্রকাশ করেছেন যে, বাইডেন প্রশাসন মিয়ানমারে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের তাদের পৈতৃক ভূমিতে নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে সংকট সমাধানের আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টায় আরও সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করবে।
মার্কিন বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ একটি লাভজনক গন্তব্য হতে পারে উল্লেখ করে মোমেন বলেন, ‘অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিশেষত উদার বাণিজ্য ও এফডিআই আকারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপক সহযোগিতা প্রত্যাশা করে ঢাকা।’
বর্তমানে ৪৮ সদস্যের জলবায়ুু ক্ষতিগ্রস্ত ফোরামের (সিভিএফ) চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন প্যারিস চুক্তিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসার বিষয়ে গভীর সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং আশা প্রকাশ করেন দুটি দেশ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য পৃথিবীকে বাঁচাতে নিবিড়ভাবে কাজ করবে।