করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা নিয়ে প্রথম ফ্লাইট উড়ল যুক্তরাষ্ট্র থেকে। দেশটির ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফএএ) ছাড়পত্র পাওয়ার পর টিকা পরিবহন শুরু করে ফাইজার।
শুক্রবার ইউনাইটেড এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটের মাধ্যমে এ টিকা পরিবহন করে মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানিটি। তবে গন্তব্য সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এ খবর দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
গত সপ্তাহে নিজেদের উৎপাদিত টিকার ৯৫ শতাংশ কার্যকর বলে দাবি করে ফাইজার। এরপর এটির অনুমোদনের জন্য এফএএ’র কাছে আবেদন করে কোম্পানিটি।
ফাইজারের এ টিকাটি সংরক্ষণ করতে হবে মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তারও কম তাপমাত্রায়। সে শর্ত নিশ্চিত করার পর ফ্লাইটটি অনুমতি পায়।
করোনা প্রতিরোধে টিকা সরবরাহ ও বিতরণ নেটওয়ার্কে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে এ ঘটনাকে।
তবে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সংবাদমাধ্যমকে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি ফাইজার কিংবা ইউনাইটেড এয়ারলাইনস।
এদিকে টিকার প্রথম চালানের ফ্লাইটটি দেশীয় নাকি আন্তর্জাতিক ছিল সেটি জানা যায়নি।
২৪ নভেম্বর এফএএ’র একটি চিঠি থেকে জানা যায়, টিকার প্রথম বড় চালান পরিবহনের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোর ও’হেয়ার এয়ারপোর্ট থেকে বেলজিয়ামের ব্রাসেলস ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে চার্টার্ড ফ্লাইট পরিচালনা করতে যাচ্ছে ইউনাইটেড।
ব্রাসেলস এবং শিকাগোর উভয় বিমানবন্দরই যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান এবং বেলজিয়ামের পুয়ার্সে ফাইজারের কারখানার জন্য সুবিধাজনক অবস্থানে পড়েছে। এ ছাড়া উইসকনসিনে ফাইজারের বিতরণস্থল শিকাগোর কাছেই।
কোম্পানিটির আরেকটি বিতরণস্থল জার্মানিতে। দেশটির জৈবপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেক যৌথভাবে এ টিকা তৈরিতে কাজ করছে।
এ টিকার চালান নিয়ে বিশ্বব্যাপী প্রতিদিন কয়েক ডজন কার্গো ফ্লাইট এবং শত শত ট্রাক পরিবহনের পরিকল্পনা আছে ফাইজারের। কার্গো বিমান ও ট্রাকের ভেতরে স্যুটকেসের মতো হিমায়িত বক্সে করে এ টিকা সরবরাহ করা হবে।