বুধবার রাত ৯টার দিকে উল্লাপাড়া ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রবল কাল বেশাখী ঝড়ে সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির-১ বিদ্যুৎ ব্যবস্থা লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। প্রায় ৩২৫ স্থানে ছিঁড়ে গেছে বৈদ্যুতিক তার। ট্রান্সফর্মারসহ ভেঙ্গে পড়েছে ১২টি বৈদ্যুতিক খুঁটি। ৩ শতাধিক বিদ্যুতের মিটার নষ্ট হয়ে গেছে। সমিতি এলাকার ৪টি উপজেলার ২ হাজারেরও বেশি গ্রামে ঝড়ের পর থেকেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত বহু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ দেওয়া সম্ভব হয়নি। গাছ উপড়ে পড়ে বগুড়া-পাবনা মহাসড়কে যান চলাচল ৪ ঘন্টা বন্ধ থাকে।
সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর মহা ব্যবস্থাপক রমেন্দ্র নাথ রায় জানান, বিগত কয়েকটি ঝড়ের তুলনায় চলতি বৈশাখ মাসে বুধবার রাতের ঝড়টি ছিল সবচেয়ে প্রবল এবং দীর্ঘস্থায়ী। ফলে পুরো এলাকায় তার সমিতির বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে বিদ্যুৎ সমিতির ৮৩টি কর্মীদল বিদ্যুৎ লাইন মেরামতের কাজ শুরু করেছে। পর্যায়ক্রমে সব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ দেওয়া হচ্ছে।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শাহজাহান আলী জানান, বুধবার রাত ৯টার দিকে প্রচন্ড ঝড়ে বগুড়া-পাবনা মহাসড়কের উল্লাপাড়ার চড়িয়া শিকার গ্রামের পাশে কয়েকটি বৃহৎ আকারের গাছ উপড়ে পড়লে দুইপাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। হাইওয়ে থানা পুলিশ ও উল্লাপাড়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উপড়ে পড়া গাছ কেটে সরিয়ে রাত ১টার দিকে মহাসড়ক যান চলাচলের উপযোগী করেন।