এক মাসব্যাপী ‘জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি শেষে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) রোববার (৩ আগস্ট) রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার’ ঘোষণা করতে যাচ্ছে। দিনটিকে ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যা দিয়ে দলটি জানিয়েছে, এই ইশতেহারের মধ্য দিয়ে ভবিষ্যতের বাংলাদেশ গঠনে তাদের প্রতিশ্রুতি ও অঙ্গীকার তুলে ধরা হবে।
শনিবার (২ আগস্ট) এনসিপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে জানানো হয়, রোববার সকাল থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে দলটির নেতা-কর্মীরা একত্রিত হবেন। এই সমাবেশে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম আনুষ্ঠানিকভাবে ইশতেহার ঘোষণা করবেন। একইসঙ্গে ঘোষিত হবে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদ’ বাস্তবায়নের দাবিতে পরবর্তী কর্মসূচিও।
দলটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া জানান, গত এক মাসে এনসিপির নেতারা দেশের বিভিন্ন জেলা, গ্রাম ও শহরে ঘুরে মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। তিনি বলেন, “শ্রমিক, কৃষক, দিনমজুর, গৃহিণীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের চাওয়া-পাওয়া এবং স্বপ্নের বাংলাদেশের রূপরেখা নিয়েই তৈরি হয়েছে এনসিপির নতুন ইশতেহার।”
তিনি আরও বলেন, “২০২৪ সালের ৩ আগস্ট যেখানে এক দফার ডাক দেওয়া হয়েছিল, সেই একই জায়গা — কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারেই এবার এনসিপিকে সামনে রেখে নতুন দিগন্তের ঘোষণা আসছে। এই দিনটি বাংলাদেশের গণআন্দোলনের ইতিহাসে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।”
বুধবার (৩০ জুলাই) নরসিংদী শহরের পৌরসভার সামনে আয়োজিত এক পথসভায়ও এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ঘোষণা দেন, “৩ আগস্ট ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার ঘোষণা করা হবে। আমরা একটি নতুন ইতিহাস রচনার দ্বারপ্রান্তে আছি। আপনারা যদি সঙ্গে থাকেন, সব দাবি আদায় করেই ছাড়ব।”
এই কর্মসূচিকে সফল করতে ৬৪টি জেলার সমন্বয় কমিটিকে নিজ নিজ এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়কের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজধানীর শহীদ মিনারকে ঘিরে ইতোমধ্যেই এনসিপি নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসাহ ও উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
এনসিপির দাবি, এই ইশতেহার শুধু একটি রাজনৈতিক দলীয় ঘোষণা নয়; বরং এটি হবে মানুষের স্বপ্ন, বঞ্চনা ও অধিকার ফিরে পাওয়ার দলিল — যা বাংলাদেশের ভবিষ্যত গঠনের পথরেখা হিসেবে কাজ করবে।
সূত্র: এফএনএস