এসএসসি পরীক্ষায় ঘোষিত ফলাফলে ফেল করায় বরিশালের হিজলা, বাবুগঞ্জ ও বাকেরগঞ্জ উপজেলায় পাঁচজন শিক্ষার্থী আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। বৃহস্পতিবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। অপর গুরুত্বর অসুস্থ্য তিনজন ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষনার পর অকৃতকার্য বরিশালের হিজলা উপজেলার বিসিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা অর্পিতা মাতুব্বর (১৬) গলার ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।সে উপজেলার বড়জালিয়া ইউনিয়নের খুন্না গোবিন্দপুর গ্রামের অমল মাতুব্বরের মেয়ে।
অপরদিকে উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের খাদেম হোসেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী মোরশেদা আক্তার ইমা (১৬) পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট না পেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
একই সময়ে আহত দুই শিক্ষার্থীকে পরিবারের সদস্যরা হিজলা উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্মরত চিকিৎসকেরা অর্পিতাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। গুরুত্বর আহত মোরশেদা আক্তার ইমাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপরদিকে বাবুগঞ্জে এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়ে কীটনাশক পান করে মীম ইসলাম (১৬) নামের এক ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। মৃত মীম ইসলাম বাবুগঞ্জ উপজেলার কাজল খান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেছিলো। মীম উপজেলার দেহেরগতি ইউনিয়নের বাহেরচর ক্ষুদ্রকাঠি গ্রামের হুমায়ুন কবীরের মেয়ে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর ফেল করার বিষয়টি জানার পর মীম ইসলাম নিজ ঘরে থাকা বিষপান করে।
পরিবারের সদস্যরা মূমুর্ষ অবস্থায় মীমকে প্রথমে বাবুগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে ও তাৎক্ষণিক বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মীম ইসলামের মৃত্যু হয়।
অপরদিকে পরীক্ষায় ফেল করায় বাকেরগঞ্জ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের জহিরুল ইসলামের মেয়ে তনি আক্তার (১৭) বিষপান করেছে।
একইদিন সন্ধ্যায় উপজেলার নিয়ামতি চামটা গ্রামের আউয়াল হোসেনের মেয়ে মুরছানা আক্তার (১৭) পরীক্ষায় ফেল করার অভিমানে ঘরে থাকা ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। মূমুর্ষ অবস্থায় ওই দুই ছাত্রীকে প্রথমে বাকেরগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে ও সন্ধ্যায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সূত্র: এফএনএস।