পাবনার ভাঙ্গুড়ায় সংবাদ প্রকাশের জেরে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মিলন সরকার ও ছাত্রলীগ কর্মী বায়েজিদ হোসেন ভাঙ্গুড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক আমার দেশ প্রতিনিধি সাংবাদিক মনিরুজ্জামান ফারুককে হেনস্তা করেছে।বুধবার দুপুর তিনটার দিকে পৌর সদরের শরৎনগর বাজারে আখের টি স্টলে এ ঘটনা ঘটে।
মিলন ভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন আহবায়ক এবং বায়েজিদ দিলপাশার ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কর্মী ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মকবুল হোসেন এমপির আত্মীয়।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে বায়েজিদ চাঁদাবাজি, সাধারণ মানুষকে নির্যাতন ও ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হিসেবে এলাকায় ত্রাস হিসেবে পরিচিত ছিল বলেও অভিযোগ রয়েছে।
জানা যায়, গত এক বছর আগে দৈনিক খোলা কাগজের স্থানীয় প্রতিনিধি মানিক হোসেনকে বায়েজিদ হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে। এতে মানিকের পায়ের হাড় ভেঙে গিয়ে গুরুতর আহত হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেন মানিকের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন। তবে বায়েজিদ আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আলহাজ্ব মকবুল হোসেনের প্রভাবে ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলেন। এ অবস্থায় আদালত বায়েজিদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করলে পুলিশ তাকে আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। এ নিয়ে ভাঙ্গুড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও আমার দেশের প্রতিনিধি মনিরুজ্জামান ফারুক একটি নিউজ করে নিজের ফেসবুক ওয়ালে শেয়ার করেন। এরপর বায়েজিদ জামিনে মুক্ত হন।
এদিকে বায়েজিদ সংবাদ প্রকাশের জেরে বুধবার দুপুরে তার তথাকথিত আত্মীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মিলন সরকারকে নিয়ে আখের টি স্টলে মনিরুজ্জামান ফারুককে নিয়ে নানা ইঙ্গিত করতে থাকে। এ সময় মনিরুজ্জামান ফারুক ওই দুইজনের ভিডিও করেন। এতে মিলন ক্ষিপ্ত হয়ে মনিরুজ্জামান ফারুককে ভিডিও ডিলিট করতে নানাভাবে হেনস্থা করেন। এ সময় মিলন উচ্চপদস্থ সেনাবাহিনীর অফিসার ও সচিবের আত্মীয় বলে লোকজনের সামনে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
এদিকে বায়েজিদ সংবাদ প্রকাশের জেরে বুধবার দুপুরে তার তথাকথিত আত্মীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মিলন সরকারকে নিয়ে আখের টি স্টলে মনিরুজ্জামান ফারুককে নিয়ে নানা ইঙ্গিত করতে থাকে। এ সময় মনিরুজ্জামান ফারুক ওই দুইজনের ভিডিও করেন। এতে মিলন ক্ষিপ্ত হয়ে মনিরুজ্জামান ফারুককে ভিডিও ডিলিট করতে নানাভাবে হেনস্থা করেন। এ সময় মিলন উচ্চপদস্থ সেনাবাহিনীর অফিসার ও সচিবের আত্মীয় বলে লোকজনের সামনে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
সাংবাদিক মনিরুজ্জামান ফারুক বলেন, বায়োজিদ জামিনে মুক্তি হয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়।
পাবনা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক ইয়ামিন খান বলেন, বিষয়টি খুবই দু:খজনক ও নিন্দনীয় কাজ করেছে। এটার বিপক্ষে আমরা সব সময়। ইতোমধ্যে আমি উপজেলা সংগঠনকে বলে দিয়েছি তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা যা যা করা যায় করবেন। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা আমি বুঝে নেব ইনশাআল্লাহ। কোন সাংবাদিককে হেনস্তা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না।
তবে এ বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবদক দল নেতা মিলন সরকারের মুঠো ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে সাংবাদিক মনিরুজ্জামান ফারুককে হেনস্থা করার ঘটনায় ভাঙ্গুড়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মাহবুব-উল আলমসহ প্রেসক্লাবের কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।