1. admin@ddnnewsbd.com : admin : ddn newsbd
  2. mamahbubulalom@gmail.com : mahbubul alom : mahbubul alom
মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ০৬:১৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
শেখ হাসিনা যে অপরাধ করেছে, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনীও তা করেনি: আসিফ নজরুল পাবনার প্রবীণ শিক্ষকের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর অভিযোগ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বাংলাদেশ গড়তেও মানুষদের হতাশ করবে না এনসিপি: নাহিদ নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যর্থ হলে সংস্কার মূল্যহীন: মির্জা ফখরুল যুবসমাজ শুধু ভবিষ্যৎ নয়, আমাদের বর্তমান শক্তি : জাতিসংঘে তৌহিদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১০ম গ্রেডে উন্নীত বৃক্ষরোপণে উদ্বুদ্ধ করতে “ছওয়াব”-এর গাছের চারা বিতরণ এমপিওভুক্ত হচ্ছে ১০৯০টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা নবীজিকে (সা.) কটূক্তিকারীর ফাঁসির দাবিতে কিশোরগঞ্জে বিক্ষোভ-মানববন্ধন

বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে ফসল, দুশ্চিন্তায় রংপুরের কৃষক

ডিডিএন ডেস্ক:
  • আপডেটের সময় : বুধবার, ২১ মে, ২০২৫
  • ৩৬ সময় দর্শন

একটানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে জমির ফসল। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। এতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা দেখা দিয়েছে। যখন কৃষকরা সবুজ ফসলের মাঠে নিজেদের ভবিষ্যতের সোনালি দিন দেখতে পাচ্ছিলেন, সেসময় টানা বৃষ্টিতে তাদের স্বপ্ন ভেঙেছে। বৃষ্টির পানিতে ফসল তলিয়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। তবে জেলা কৃষি অফিস বলেছে, পানি দ্রুত নেমে গেলে আক্রান্ত জমির ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা তেমন নেই।

রংপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল ১০ টা পর্যন্ত জেলায় ৯৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগের দুই দিনে প্রায় ২৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

টানা বৃষ্টির কারণে রংপুর নগরীর নিম্নাঞ্চল, অলিগলি ও রাস্তাঘাট ডুবে গেছে পানিতে। নগরীর নিম্নাঞ্চলের প্রায় ২০-২৫ টি গ্রাম এখন হাঁটু পানির নিচে। শুধু শহর কিংবা বন্দর নয়, গ্রামের ফসলের মাঠ, মাছের পুকুর, সবজি ক্ষেত সবই পানির নিচে।

রংপুরের অনেক জায়গায় এখনও পুরোপুরি ধান মাড়াই শেষ হয়নি। কেউ ধান কাটলেও ধান মাড়াই করতে পারেন নি বৃষ্টির কারণে। ফলে ধান নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কারো কারো ধান পানির নিচে রয়েছে। দুই-এক দিনের মধ্যে পানি না নেমে গেলে সেসব ধান আর কাটা সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন ওই এলাকার কৃষকরা।
সবজির শহর খ্যাত উপজেলা মিঠাপুকুরের রানী পুকুরে এখন শুধু পানি আর দীর্ঘশ্বাস। রানী পুকুর ইউনিয়নের নয়াপাড়া, তাজনগর, আফজালপুর, ভক্তিপুর আর বলদীপুকুর গ্রামের মাঠগুলো এখন যেন একেকটা ছোট ছোট নদী। মাঠে গিয়ে ফসলের কোনো চিহ্নই দেখা যাচ্ছে না, শুধু থই থই পানি।

কয়েক দিনের বৃষ্টির পানি জমে পুরো ফসলের মাঠই ডুবে গেছে। ধান, আদা, শাক-সবজি সবই এখন পানির নিচে। এ কারণে কৃষকের চোখে-মুখে আতঙ্কের ছাপ দেখা দিয়েছে। কারণ ওই জমির ফসল ছিল তাদের একমাত্র ভরসা।

রানী পুকুরের পূর্বপাড়া এলাকার মোস্তফা মিয়া বাসসকে বলেন, অনেক কষ্ট করে জমি বন্ধক নিয়ে এবং ঋণ করে আবাদ করেছি, কয়েক দিনের বৃষ্টির পানিতে সব শেষ। এই মৌসুমের রুজি-রোজগারের সব আশা শেষ। এক একর জমির কাঁকরোল, এক একরের করলা, শসা সব পানির নিচে। আর দুই-এক দিন পানিতে থাকলে গাছ মারা যাওয়া শুরু করবে। এদিকে বৃষ্টি থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

বৃষ্টির পানিতে সবটুকু জমির ফসল তলিয়ে যাওয়ায় দিশেহারা আমিন আলী বলেন, গত বছরের সুদের টাকা এখনও শোধ হয়নি। এবারেও সুদের ওপর টাকা নিয়ে আবাদ করেছি। এখনও আসল টাকা ওঠেনি। এখন আবার বৃষ্টির পানিতে জমির ফসল তলিয়ে গেল। এখন আর কান্না ছাড়া কিছু করার নেই।

আমিন আলীর মতো  জেলার শত শত কৃষক এখন অসহায়। যাদের চোখে ছিল নতুন ফসল ঘরে তোলার স্বপ্ন, সেই চোখে এখন শুধু কান্না। এই বৃষ্টি থামবে কিনা, পানি নামবে কিনা, এসব নিয়েই চরম শঙ্কায় দিন কাটছে তাদের।

মিঠাপুকুর উপজেলা কৃষি অফিসার মুহাম্মদ সাইফুল আবেদীন বলেন, টানা বৃষ্টির কারণে কয়েক হেক্টর জমির ফসল পানিতে ডুবে গেলেও পানি নেমে যাওয়া শুরু করায় ক্ষতির আশঙ্কা কম। তবে প্রায় তিন হেক্টর জমির ফসল ক্ষতির মুখে রয়েছে। আমরা কৃষকের পাশে আছি। তাদের সব ধরনের পরামর্শ দিচ্ছি।
এদিকে বৃষ্টি ও উজানের ঢলে তিস্তার পানি বেড়ে রংপুরের গংগাচড়া ও কাউনিয়া উপজেলায় নিম্নাঞ্চলের ফসলি জমি নিমজ্জিত হয়েছে। এতে করে ধান, বাদাম, কাউন, শাকসবজি, মরিচ ও ভুট্টাসহ বিভিন্ন ফসল তলিয়ে ক্ষতির মুখে পড়ে দিশেহারা এই অঞ্চলের কৃষকরা। বিশেষ করে বাদামের প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। এ নিয়ে কৃষকরা চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত রমজান আলী বলেন, এমনিতেই চরাঞ্চলে এক মৌসুমের আবাদ হয়। সেটাও এবার আর হলো না। তিন একর জমিতে বাদাম চাষ করেছিলাম। সব পানিতে ডুবে গেছে। এই পানি যে কবে কমবে তারও কোনো ঠিক নেই। তবে পানি কমলেও তত দিনে বাদাম নষ্ট হয়ে যাবে। এবার চরম ক্ষতির মুখে পড়লাম!
অন্যদিকে শুধু ফসল নয়, টানা বৃষ্টিতে রংপুরের মাছ চাষিরাও পড়েছেন বিপাকে। অনেকের পুকুর ভরে গেছে, পাড় ভেঙে ভেসে যাচ্ছে চাষ করা মাছ। মৌসুমের শুরুতে এক রাতেই পানিতে ভেসে গেছে তাদের স্বপ্ন।

রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সিরাজুল ইসলাম জানান, ফসল পানিতে নিমজ্জিত হওয়া মানেই নষ্ট হয়ে যাওয়া নয়। যদি পানি এক সপ্তাহের মধ্যে সরে যায়, তাহলে জমির ফসলের কোনো ক্ষতি হবে না। তাছাড়া জমির পানি যদি পরিষ্কার হয়, তাহলে তেমন চিন্তা নেই। তবে পানি কাদা মিশ্রিত হলে  ফসল দ্রুত সারিয়ে তুলতে পানি স্প্রে করে কাদা ধুয়ে ফেলতে হবে। গত দু’দিনের তুলনায় বৃষ্টির পরিমাণ কমে গেছে। দুই-এক দিন বৃষ্টি না হলেই পানি নেমে যাবে। তবে একেবারে যে ফসলের ক্ষতি হয়নি, সেটা বলবো না। কোথাও কোথাও ক্ষতি হয়েছে। কৃষি অধিদপ্তর সবসময় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের পাশে আছে।

সূত্র: বাসস

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Smart iT Host