ধানমন্ডি থানার একটি ঘটনায় আটক তিনজনকে মুচলেকা দিয়ে ছাড়িয়ে আনার ঘটনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে এনসিপি।
আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তাকে এ বিষয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।বুধবার এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত এই নোটিশ এনসিপি’র ফেসবুক পোস্টে প্রকাশ করা হয়।
নোটিশে বলা হয়, “গতকাল মঙ্গলবার ধানমন্ডি থানার আওতাভুক্ত একটি আবাসিক এলাকায় ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে বিশৃঙ্খলা করার অভিযোগে তিনজন ব্যক্তিকে আটক করে ধানমন্ডি থানা পুলিশ। উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক উক্ত তিনজনের অন্যতম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, মোহাম্মদপুর থানার আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম রাব্বিকে নৈতিকতা স্খলনজনিত কারণে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। এতৎসত্ত্বেও আপনি সংশ্লিষ্ট থানায় উপস্থিত হয়ে আটক তিনজনের মুচলেকা প্রদান করে থানা থেকে তাদের জামিন করিয়েছেন। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে আপনার ব্যাখ্যা এবং আপনার বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার লিখিত বিবরণ আগামী তিন দিনের মধ্য শৃঙ্খলা কমিটির প্রধানের নিকট উপস্থাপন করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলো।”
এ প্রসঙ্গে হান্নান মাসউদকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, এমনি খোঁজ-খবর নিতে এসেছি। একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল, সেটা মীমাংসা করা হলো। এ ঘটনায় বাইরের অনেকেই জড়িত আছে। সেগুলো আমরা খতিয়ে দেখছি।
আটকের পর ছেড়ে দেওয়া সমন্বয়করা হলেন, মোহাম্মদপুর থানার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম রাব্বী। তাকে নৈতিক স্খলনজনিত কারণ দেখিয়ে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বাকি দুইজন হলেন-বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগর শাখার সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব আফারহান সরকার দিনার ও মো. উল্লাহ জিসান। তবে জিসানের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কমিটিতে কোনো পদ নেই।
আটকের পর ধানমন্ডি থানায় ছিলেন এই তিন সমন্বয়ক। মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুরের পর ধানমন্ডি থানায় যান জাতীয় নাগরিক কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ। এরপর প্রায় এক ঘণ্টা থানার ঊর্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার পর তার জিম্মায় এই তিনজনকে ছেড়ে দেয় ধানমন্ডি থানা পুলিশ।
সূত্র: এফএনএস