মেয়ে ও এক বছরের নাতনীকে রেখে পালিয়েছে জামাই। যাবার সময় জুয়েলারী দোকানের ৬০ ভরি রুপা ও অপর এক মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে গেছে সে। এখন ছেলেকে গুম করার অভিযোগে থানায় গেছে জামাইয়ের মা, আর হারানো রুপা ফিরিয়ে দিতে উপর্যুপরি চাপ দিচ্ছেন জুয়েলার্সের মালিক। সব মিলিয়ে দিশেহারা অবস্থা শ্বাশুড়ির। তাই বাধ্য হয়ে প্রতারক জামাইয়ের সন্ধান পেতে রীতিমত পুরস্কার ঘোষণা করেছেন তিনি।
শুক্রবার এ ঘটনা ঘটেছে নাটোরের বড়াইগ্রামে। প্রতারক মেয়ে জামাইয়ের সন্ধান পেতে উপজেলার জোনাইল বাজারে অজস্র মানুষের সামনে প্রকাশ্যে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষনা করেছেন শ্বাশুড়ি আনোয়ারা বেগম। প্রতারক ওই জামাইয়ের নাম সিয়াম হোসেন (২৪)। সিয়াম পাবনার চাটমোহর উপজেলার দোলন গ্রামের কিরন আলীর ছেলে। আনোয়ারা জোনাইল বাজারের জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী। এর আগে আনোয়ারার মেয়ে আলো খাতুন বড়াইগ্রাম থানায় স্বামী সিয়াম হোসেনের নামে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
আনোয়ারা বেগম বলেন, চার বছর আগে আমার মেয়ে আলো খাতুনের (২২) সাথে দোলন গ্রামের কিরণ আলীর ছেলে সিয়াম হোসেনের পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। তাদের সিনথিয়া খাতুন (০১) নামের কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই মেয়ে ও জামাই আমার বাড়িতে থেকে জোনাইল বাজারের আহসানের জুয়েলারী দোকানে কাজ করতো। গত রমজান মাসে সে জুয়েলারীর দোকান থেকে ৬০ ভরি রুপা নিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয় একটি মেয়েকেও সাথে নিয়ে গেছে বলে জানতে পেরেছি। এদিকে, সিয়ামের মা তার ছেলেকে গুম করা হয়েছে মর্মে আমার (আনোয়ারা) ও জুয়েলারী দোকান মালিক আহসানের নামে থানায় অভিযোগ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা গরীব মানুষ। নাতনী ও মেয়েকে নিয়ে মানবেতর জীবন যাপর করছি। নাতনী বাবার জন্য কান্নাকাটি করে। জুয়েলারী দোকান মালিক জামাইয়ের নেয়া রুপা ফেরৎ চেয়ে চাপ সৃষ্টি করছে। আবার তার মা অভিযোগ করছেন। সব মিলিয়ে মহা যন্ত্রণায় পড়েছি। কিন্তু তাকে কোথাও খুঁজে পাচ্ছি না। তাই বাধ্য হয়ে জামাইয়ের সন্ধান পেতে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছি।
প্রতারক সিয়ামের মা রওশনা বেগম বলেন, আমার ছেলেকে গুম করে এখন নাটক করছেন বিয়ান (আনোয়ারা)। দ্রুত আমার ছেলের সন্ধান দিতে হবে।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম সারওয়ার হোসেন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
সূত্র: এফএনএস