বাংলাদেশে শান্তি এবং সহনশীলতার পক্ষে শক্তিশালী বার্তা দিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি রোববার (১১ মে) চট্টগ্রামে বৌদ্ধ পূর্ণিমার শান্তি শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে বলেন, দেশের মানুষ আর অশান্তি চায় না। তারা স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায়, যেখানে সব ধর্মের মানুষ সমান অধিকার ভোগ করবে এবং একত্রে দেশ ও সমাজ গড়বে।
অশান্তির কালো ছায়া কাটিয়ে, শান্তি ও ঐক্য প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে খসরু বলেন, “গত ১৫-২০ বছর ধরে বাংলাদেশ অশান্তিতে ভুগছে। সমাজ, রাজনীতি এবং অর্থনীতি সব কিছুই ভেঙে পড়েছে। কিন্তু এখন সময় এসেছে নতুন সমাজ এবং শান্তিপূর্ণ দেশের জন্য কাজ করার।”
বৌদ্ধ পূর্ণিমার উপলক্ষে আয়োজিত শোভাযাত্রায় প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এই বক্তব্য দেন। তিনি আরও বলেন, “আমরা দেশে বিভাজনের রাজনীতি চাই না, বাংলাদেশ কখনো সংখ্যাগরিষ্ঠের রাজত্বের রাষ্ট্র হবে না। এই দেশ হবে সবার, এখানে বিভক্তির কোনো স্থান থাকবে না।”
আমীর খসরু বিশেষভাবে ভিন্নমতকে সম্মান জানিয়ে সহিষ্ণুতার ওপর গুরুত্ব দেন। “বাংলাদেশে রাজনীতির ভিন্নতা থাকবে, কিন্তু আমাদের একে অপরের মতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। সহনশীলতা এবং পরমত সহিষ্ণুতা আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির অংশ হওয়া উচিত,” বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, “আজকের দিনে বাংলাদেশে শান্তির বাণী সবচেয়ে বেশি প্রযোজ্য, এবং এটাই দেশের মানুষের প্রয়োজন। রাজনীতিতে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করতে হবে, এবং দেশের সব সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে।”
খসরু বলেন, “ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ধর্মীয় বৈষম্য ছাড়া একটি ঐক্যবদ্ধ সমাজ গড়া। বৌদ্ধ সম্প্রদায় বাংলাদেশের ঐতিহ্যের অঙ্গ, এবং তাদের সঙ্গে আমাদের সহাবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে এই শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মো. আলমগীর হোসেন এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সম্মিলিত বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রিটন কুমার বড়ুয়া।
শোভাযাত্রাটি নগরীর নন্দনকানন বৌদ্ধ বিহার প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয় এবং বাংলাদেশের সবার জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি এবং ঐক্য কামনা করে চলতে থাকে।
সুত্র: এফএনএস