এসময় দাবিগুলো উপস্থাপন করেন সংগঠনের সভাপতি সুকৃতি কুমার মন্ডল। দাবিগুলো হলো- অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ‘ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার’ আদর্শ প্রতিষ্ঠা করা; বাংলাদেশকে ৫ রাজ্যে বিভক্ত করে ৫ রাজ্য সরকার ও ১টি কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিকেন্দ্রীকৃত সরকার ব্যবস্থায় রাষ্ট্রের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা এবং সকল নাগরিক সুযোগ-সুবিধা জনগণের দোরগোড়ায় দ্রুত পৌঁছে দেয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা।
সর্বস্তরের দুর্নীতি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করে রাষ্ট্রের মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা; জাতীয় শিক্ষাক্রমের সকল পর্যায়ে ‘আধুনিক, বিজ্ঞানভিত্তিক ও প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষাব্যবস্থাসহ অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রতিফলনশীল পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন এবং পাঠদানের ব্যবস্থা কার্যকর করা; ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, পাহাড়ি ও সমতলের আদিবাসী এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করা।
সংগঠনের সভাপতি বলেন, দেশের সকল নাগরিকের সমমর্যাদা ও সমঅধিকার এবং সুশাসন ও ন্যায়বিচার ভোগের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছিল সংবিধানে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় প্রায় সকল ক্ষেত্রে রাষ্ট্র চলছে উল্টো পথে। এদেশে সাম্প্রদায়িকতা স্তিমিত না হয়ে সমাজের সর্বত্র পাল্লা দিয়ে বেড়েছে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক পটপরিবর্তন, নির্বাচন কিংবা অস্থিরতার সময়ে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন, নিপীড়ন ও অত্যাচার বেড়ে যায়। বিএমজেপি’র মূল লক্ষ্য হলো জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের মহাসচিব দিলীপ দাস, যুগ্ম মহাসচিব ডা. ফয়জুর রহমান, নির্বাহী সদস্য তারেক চন্দ্র রায় প্রমূখ।
সূত্র: আমার দেশ ।