পাবনার সুজানগরে পদ্মা নদীতে অসময়ে ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে উপজেলার সাতবাড়ীয়া ইউনিয়ন এলাকা। সাতবাড়ীয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন বলেন, চলতি মৌসুমে পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি এবং প্রচণ্ড ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়েছে। এতে উক্ত ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর, নারুহাটি, শ্যামনগর এবং সাতবাড়ীয়া এলাকায় ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে সাতবাড়ীয় কাঞ্চন পাকর্, পদ্মা রিসোর্ট, সাতবাড়ীয়া মৎস্য আড়ৎ এবং সাতবাড়ীয়া খেয়াঘাট।
স্থানীয় মৎস্যজীবী প্রশান্ত হালদার বলেন চলতি মৌসুমে পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রচণ্ড ঢেউ দেখা দিয়েছে। আর ওই ডেউয়ের তোড়ে প্রতিদিন ভাঙ্গছে সাতবাড়ীয়া ও তারাবাড়ীয়া পদ্মা নদীরপাড় ও আশপাশের স্থাপনা। পদ্মাপাড়ের নারুহাটি গ্রামের আব্দুল কদ্দুস বলেন পদ্মা নদীর ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে পদ্মাপাড়ের কাঞ্চন পার্ক, পদ্মা রিসোটর্, সাতবাড়ীয়া মৎস্য আড়ৎ এবং সাতবাড়ীয়া খেয়াঘাট।
বিগত বর্ষা মৌসুমে পদ্মা নদীর ভাঙ্গনে সাতবাড়ীয়া, তারাবাড়ীয় ও নিশ্চিন্তপুরসহ আশপাশের এলাকার হাজার হাজার বিঘা ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। স্থানীয় কৃষকেরা ওই সকল জমিতে চিনা বাদাম এবং তিলসহ বিভিন্ন ধরনের ফসল আবাদ করতেন। কিন্তু ওই সকল জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় তারা হতাশ হয়ে পড়েছেন।
পদ্মাপাড়ের তারাবাড়ীয়া গ্রামের বাসিন্দা ফজলুর রহমান বলেন নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার কারণের এই ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। বালু উত্তোলন বন্ধ না হলে ভবিষ্যতে এই ভাঙ্গন অব্যাহত থাকবে বলে পদ্মাপাড়ের ভুক্তভোগী বাসিন্দারা মনে করেন।
এ ব্যাপারে পাউবো বেড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম বলেন ভাঙ্গন প্রতিরোধে ওই সকল এলাকায় জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হয়েছে। প্রয়োজনে সিসি ব্লকের বাঁধ নির্মাণ করা হবে।
সূত্র: এফএনএস