1. admin@ddnnewsbd.com : admin : ddn newsbd
  2. mamahbubulalom@gmail.com : mahbubul alom : mahbubul alom
শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ০৩:৩৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
পাবনায় ইসরাইলি বর্বরতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ বেইজিং ঘোষণা বাস্তবায়ন করতে বিশ্বব্যাপী সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টার গাজা ও ইয়েমেনে হত্যাযজ্ঞ ঠেকাতে মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান আলী খামেনির রায়পুরায় আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে নিহত ২ হত্যা-লুটপাটে জড়িত নয়, এমন নেতৃত্বে আ’লীগের রাজনীতিতে বাধা নেই: রিজভী ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ‍’ নামে নতুন ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা চলছে: হাসনাত আ.লীগের পুনর্বাসন জনগণ মেনে নেবে না: জামায়াত আমির ঈদে সংবাদকর্মীদের ছুটি কমপক্ষে ৫ দিন করার দাবি এসআরএফের যেসব গণমাধ্যম সাংবাদিকদের সম্মানজনক বেতন দেবে না তাদের আর দরকার নেই : শফিকুল আলম পাবনায় বাসচাপায় অটোরিকশার ৫ যাত্রী নিহত

রমজানের পূর্বমুহূর্তে দেওয়া নবীজি (সা.) এর ভাষণ

ডিডিএন ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
  • ২৩ সময় দর্শন

আরবি ১২ মাসের মধ্যে মাহে রমজান একটি পুণ্যময় মাস। এ মাসে মুসলিম উম্মাহ রহমত, নাজাত ও মাগফিরাত তিনটি বিষয়ের অধিকার লাভ করে থাকে। এই মোবারক মাসে জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে রাখা হয় আর শয়তানদের শিকল দিয়ে বন্দি করে রাখা হয়। জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়। সেই মাসটি প্রতিবছরের মতো বান্দার কল্যাণ অর্জনের সুসংবাদ নিয়ে আমাদের মধ্যে আবার উপস্থিত হচ্ছে।

সাওম শব্দের অর্থ হলো বিরত থাকা। শরিয়তের পরিভাষায় সাওম হলো আল্লাহর নির্দেশ পালনার্থে সুবহে সাদেক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার, স্ত্রী সহবাসসহ নিষিদ্ধ যাবতীয় কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকা।

নবী করিম (সা.) আগত রমজানকে লক্ষ্য করে শাবানের শেষে সাহাবিদের উদ্দেশে গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দিতেন। ভাষণে রমজানের গুরুত্ব, রোজার পবিত্রতা রক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সাহাবাদের সতর্ক করতেন। এই ভাষণে মাহে রমজানের করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়ও ফুটে উঠেছে। শাবানের শেষে রাসুল (সা.) প্রদত্ত ভাষণটি মুসলিম উম্মাহর জন্য দীপ্তিময় আলোকবর্তিকা হিসেবে ভূমিকা রাখে। ভাষণটির অনুসরণ প্রত্যেক রোজাপ্রত্যাশীর জন্য অতীব প্রয়োজন। হাদিসের কিতাবে নবীজির সেই ভাষণটি স্বর্ণাক্ষরে সুস্পষ্টরূপে লিখিত আছে। হজরত সালমান ফারসি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করিম (সা.) আমাদের শাবান মাসের শেষ যেদিন ভাষণ দিলেন এবং বললেন, হে মানব সকল! তোমাদের ওপর ছায়া বিস্তার করেছে একটি মহান মাস, মোবারক মাস। এ মাসে এমন একটি রাত রয়েছে, যা হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। আল্লাহতায়ালা এ মাসের রোজাগুলো তোমাদের ওপর ফরজ এবং এর রাতে তারাবির নামাজ পড়াকে করেছেন নফল। যে ব্যক্তি এ মাসে আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে একটি নফল কাজ করল, সে ওই ব্যক্তির সমান হলো যে অন্য মাসে একটি ফরজ আদায় করল। আর যে ব্যক্তি এ মাসে একটি ফরজ আদায় করল, সে ওই ব্যক্তির সমান হলো যে অন্য মাসে সত্তরটি ফরজ আদায় করল। এটি ছবরের মাস আর ছবরের প্রতিদান হলো জান্নাত। এটি সহানুভূতি প্রদর্শন এবং মোমিনের রিজিক বৃদ্ধির মাস। যে এই মাসে কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে, সেটি তার জন্য গুনাহগুলোর ক্ষমাস্বরূপ হবে এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তির কারণ হবে। এ ছাড়া তার সওয়াব হবে সেই রোজাদার ব্যক্তির সমান অথচ রোজাদারের সওয়াবও কম হবে না।

অতঃপর সাহাবারা বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমাদের প্রত্যেক ব্যক্তি তো এমন সামর্থ্য রাখে না, যা দ্বারা রোজাদারকে ইফতার করাতে পারে? নবী করিম (সা.) বললেন, আল্লাহতায়ালা সওয়াব দান করবেন ওই ব্যক্তিকে, যে রোজাদারকে এক চুমুক দুধ বা একটি খেজুর বা এক চুমুক পানি দ্বারা ইফতার করাবে। আর যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে তৃপ্তির সঙ্গে খাওয়ায়, আল্লাহতায়ালা তাকে আমার হাউসে কাউসার থেকে এমন পানীয় পান করাবেন, জান্নাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত সে আর তৃষ্ণার্ত হবে না। এটি এমন মাস, যার প্রথমাংশ রহমত, মধ্যমাংশ মাগফিরাত আর শেষাংশ হচ্ছে জাহান্নাম থেকে মুক্তি। আর যে এ মাসে আপন দাস-দাসীদের প্রতি কার্যভার লাঘব করে দেবে আল্লাহতায়ালা তাকে ক্ষমা করে দেবেন এবং তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তিদান করবেন। (বায়হাকি)

চাঁদ দেখার দোয়া

দ্বীন ইসলামের প্রধান ইবাদতগুলো চাঁদ দেখার সঙ্গে সম্পৃক্ত। রমজান মাসের রোজা প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা এ মাস পাবে, সে যেন এ মাসে রোজা রাখে।’ (সুরা বাকারা : ১৮৫) তেমনি রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমরা চাঁদ দেখে রোজা রাখো এবং চাঁদ দেখে ঈদ করো। কিন্তু যদি আকাশে মেঘ থাকে, তাহলে গণনায় ৩০ পূর্ণ করে নাও।’ (বোখারি : ১৯০০)

যেকোনো আরবি মাসের নতুন চাঁদ দেখে একটি দোয়া পড়া সুন্নত। তালহা বিন উবাইদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) যখন নতুন চাঁদ দেখতেন, তখন এ দোয়া পড়তেন। (তিরমিজি : ৩৪৫১)

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিল আমনি ওয়াল ঈমানি, ওয়াস সালামাতি ওয়াল ইসলাম, রাব্বি ওয়া রাব্বুকাল্লাহ।

অর্থ : হে আল্লাহ, তুমি ওই চাঁদকে আমাদের ওপর উদিত করো নিরাপত্তা, ঈমান, শান্তি ও ইসলামের সঙ্গে। (হে চাঁদ) আমার ও তোমার প্রতিপালক আল্লাহ।

মাসআলা : রোজার নিয়ত কি মুখে করা জরুরি?

রোজার নিয়ত নিয়ে অনেকের মধ্যে একটা ভুল ধারণা কাজ করে। অনেকেই মনে করেন, রোজার নিয়ত মুখে করতে হয়। সমাজে যে আরবি নিয়ত প্রচলিত আছে, তা বলতে হয়, নইলে কমপক্ষে মুখে এতটুকু বলতে হয় যে, আমি আগামীকাল রোজা রাখার নিয়ত করছি। অন্যথায় নাকি রোজা সহিহ হবে না।

তাদের এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। রোজার জন্য মৌখিক নিয়ত জরুরি নয়; বরং অন্তরে রোজার সংকল্প করাই যথেষ্ট। এমনকি রোজার উদ্দেশ্যে সাহরি খেলেই রোজার নিয়ত হয়ে যায়। সুতরাং এ কথা ভাবার কোনো সুযোগ নেই যে, মুখে রোজার নিয়ত না করলে রোজা হবে না।

উত্তর দিয়েছেন : মুফতি আবুল হাসান মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ

সূত্র: আমার দেশ

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Smart iT Host