ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধি :
পাবনার ভাঙ্গুড়ায উপজেলায় তারুণ্যের উৎসবে মঙ্গলবার(২১ জানুয়ারি) দুর্নীতিবিরোধী কর্মশালা ও স্কিল কমপিটিশন-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা পরিষদের হলরুমে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা.নাজমুন নাহার। উদ্বোধন করেন দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় পাবনার উপপরিচালক মো. শহীদুল আলম সরকার।
উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি সাবেক অধ্যক্ষ মো. শহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মো.মাহবুব উল আলমের সঞ্চালনায় এই অনুষ্ঠানে উপজেলার ৭ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান- সরকারি হাজী জামাল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজ,সরকারি ভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন স্কুল এন্ড কলেজ,ভাঙ্গুড়া মহিলা কলেজ,মমতাজ মোস্তফা আইডিয়াল স্কুল ,জরিনা-রহিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,হাজী গয়েজ উদ্দিন মহিলা মাদ্রাসা ও শরৎনগর সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার দশম ও একাদশ শ্রেণির ৪৮ জন মেধাবী শিক্ষার্থী অংশ গ্রহন করে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান অতিথি শিক্ষার্থীদের দুর্নীতিবিরোধী শপথ বাক্য পাঠ করান। পরে শিক্ষার্থীদের জন্য দক্ষতা কম্পিটিশনের আয়োজন করা হয়। এরে আগে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে দুর্নীতিবিরোধী ভিডিও ক্লিপ প্রদর্শন করা হয়। কম্পিটিশনে পাঁচজন শিক্ষার্থী শ্রেষ্ঠ মেধাবী নির্বাচিত হয়। এরা হলো মমতাজ মোস্তফা আইডিয়াল স্কুলের সামিয়া হাসান অদ্রি,রুবাইয়া ফেরদৌস নুরি ,শামস মো.সিজান ও আরাফাত হোসেন এবং শরৎনগর সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্র মো.সাজিদ আহমেদ। এই পাাঁচ মেধাবী কেন শ্রেষ্ঠ,সে বিষয়ে তারা তাদের বক্তব্যও উপস্থাপন করে। উপস্থপনায় সহযোগিতা করেন শরৎনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবা খন্দকার ইভা।
উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির পক্ষ থেকে পাঁচ মেধাবীকে মেডেল প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ইউএনও নাজমুন নাহার,বিশেষ অতিথি দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালক মো. শহীদুল আলম সরকার এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পৌর প্রশাসক তাসমিয়া আক্তার রোজী মেধাবীদের হাতে সম্মাননা পুরস্কার তুলে দেন। এছাড়া অতিরিক্ত উপহার হিসাবে প্রত্যেক মেধাবীকে একটি ডায়রি ও কলাম,একটি ছাতা,একটি স্কুল ব্যাগ,একটি পেয়ালা ও একটি বিউটি সোপ প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম ও ভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো.রফিকুল ইসলাম। বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো.সেকেন্দার আলী,যুব উন্নয়ন অফিসার মো.শামিম হাসান ও একাডেমিক সুপারভাইজার ওয়ালি উল্লাহ।
এ সময় দুর্নীতি দমন কমিশনের পরিদর্শক মো. ইশতিয়াক আহমেদ ,উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহসভাপতি প্রফেসর চন্দনা রানী দাশ,সদস্য মলয় কুমার দেব,কবি নুরুজ্জামান মুসাফির,মো. আমিনুল ইসলাম,মো.ওয়াহাব আলী,প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান ফারুক, মমতাজ মোস্তফা আইডিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাকিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।