দুই ঘণ্টারও বেশি সময় সাভার সেনানিবাসে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গুলশানের বাসায় ফিরেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ সোমবার দুপুর ২টায় বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বিশেষজ্ঞ চিকিসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘এইমাত্র মহাসচিব বাসায় পৌঁছেছেন। আলহামদুলিল্লাহ্, মহাসচিব সুস্থ আছেন, ভালো আছেন। এখন তিনি বিশ্রামে আছেন।’
ডা. জাহিদ হোসেন আরও বলেন, ‘সাভার সিএমএইচ-এ উনার কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। রিপোর্টগুলো ফলাফল ভালো। সিএমএইচ-এর চিকিৎসকরা রিপোর্ট পর্যালোচনা করে বিএনপি মহাসচিবকে বাসায় যাওয়ার ছাড়পত্র দেন।’
তিনি বলেন, ‘হাজার হাজার নেতাকর্মী নিয়ে বিএনপি মহাসচিব স্মৃতিসৌধে পুস্পমাল্য অর্পন করে বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানান। এ সময় এত ভিড় ছিল, যা না দেখলে বুঝানো সম্ভব না। ভিড়ের মধ্যে শ্রদ্ধা নিবেদন পর্ব শেষে মহাসচিব সাংবাদিকদের কাছে ব্রিফিংয়ের জন্য যখন যাচ্ছিলেন, তখন এই ভিড়ে চাপে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।’
তিনি বলেন, ‘এ সময় তিনি বসে পড়েন। আমি, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল ও সাবেক এমপি দেওয়ান সালাহউদ্দিন বাবু দ্রুত তাকে ধরাধরি করে গাড়িতে তুলে সিএমএইচ-এ নিয়ে আসি। আল্লাহর রহমতে হাসপাতালে আসার সাথে কমাডেন্ট, মেডেসিন, হৃদরোগ ও আইসিইউসহ বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা দ্রুত মহাসচিবের চিকিৎসা শুরু করেন। এ সময় তারা মহাসচিবের কয়েকটি পরীক্ষাও করেন।’
আজ সোমবার সকালে সাভারে জাতীয় স্মৃতি সৌধে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে হাজার হাজার নেতা-কর্মীদের ভিড়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর এক পর্যায়ে বিএনপি মহাসচিব অসুস্থ হয়ে পড়েন। পাশে থাকা দলের স্থায়ী কমিটির অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন দ্রুত তাকে সিএমএইচএ নিয়ে আসেন।
সিএমএইচ-এর চিকিৎসকরা বিএনপি মহাসচিবকে ভর্তি করে দ্রুত চিকিৎসা সেবা শুরু করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অসুস্থ হয়েছেন জেনে নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মো. মঈন খান দ্রুত সিএমএইচ-এ আসেন এবং তার চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন।
বাসস