1. admin@ddnnewsbd.com : admin : ddn newsbd
  2. mamahbubulalom@gmail.com : mahbubul alom : mahbubul alom
শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:১১ পূর্বাহ্ন

বাজারে চাহিদামতো তেল সরবরাহ নেই

ডিডিএন ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ২৬ সময় দর্শন

বাজারে চাহিদামতো তেলের সরবরাহ নেই। অভিযোগ রয়েছে আমদানিকারকরা চাহিদামতো তেল সরবরাহ করছে না। তবে আমদানিকারক ও বাজারজাতকারীদের দাবি, চাহিদার তুলনায় আমদানি কম, বিশ্ববাজারে দাম বেশি, ডলারের দামে অস্থিরতা, ঋণের সুদ হার বৃদ্ধি এবং শীর্ষ আমদানিকারকদের কেউ কেউ নিষ্ক্রিয় থাকায় ভোজ্যতেলের বাজারে স্বস্তি ফিরছে না। আর বিশ্ববাজারে দর বাড়ার কারণে দেশে দাম স্থির রাখতে সরকার ভ্যাট কমিয়েছে।

তবে বাজার সংশ্লিষ্ট অনেকেই ব্যবসায়ীদের এসব দাবিবে অজুহাত বলছে। কারণ এখন যে তেল বিক্রি হচ্ছে তা তিন থেকে ছয় মাস আগে আমদানি হয়েছে। তখন বিশ্ববাজারে তেলের দর অনেক কম ছিলো। এখন বিশ্ববাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও ওই তেল আমদানি করে পরিশোধনের পর বাজারে আরো কিছুদিন পর আসবে।

বর্তমানে দেশে ভোজ্যতেলের চাহিদা ২২ লাখ টন। এর মধ্যে স্থানীয়ভাবে উৎপাদন হয় ২ লাখ টন। আর ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২৩ লাখ টন আমদানি করা হয়েছে। বাজার সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ভোজ্যতেলের সরবরাহ বাড়ানো ও দাম স্বাভাবিক রাখতে সরকার দু’দফায় আমদানি পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) কমিয়েছে। তাতে বোতলজাত ও খোলা উভয় ধরনের তেলের দাম লিটারে ১০ থেকে ১২ টাকা কমার কথা থাকলেও কমেছে ৫ থেকে ৬ টাকা। আমদানিকারকরা ভ্যাট ছাড়ের সুফল পেলেও ভোক্তা তা পুরোপুরি পাচ্ছে না। এখন বাজারে বোতলজাত তেলের চেয়ে খোলা তেলের দাম বেশি হওয়ায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বোতলের তেল ঢেলে খোলা অবস্থায় বিক্রি করছে। বাজারজাতকারীরা সরবরাহ কমে যাওয়ায় দেশের কোথাও কোথাও বোতলজাত তেল এশপ্রকার মিলছেই না।

ঢাকায় বড় বাজার ও সুপারশপগুলোতে সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও এলাকাভিত্তিক ছোট বাজার ও মহল্লায় বোতলজাত তেলের সরবরাহ কম। সূত্র জানায়, অপরিশোধিত সয়াবিন তেল, পরিশোধিত পাম অয়েল ও সয়াবিন বীজ- এই তিন পণ্য আমদানিতে বর্তমান সরকার ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করে। এর পর স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে আরো ৫ শতাংশ ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া হয়। ফলে শুধু আমদানি পর্যায়েই ৫ শতাংশ ভ্যাট থাকলো। কিন্তু বাজারে ভ্যাট কমার প্রভাব নেই।

চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে গত আগস্টে পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি পাম অয়েল বিক্রি হয়েছে ১২৭ থেকে ১৩০ টাকায়। গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১৬৭ থেকে ১৭৫ টাকায়। অর্থাৎ, তিন মাসে কেজিতে বেড়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। পাইকারিতে দর বেশি থাকায় খুচরায় এর প্রভাব পড়েছে। রাজধানীর বাজারগুলোতে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা। তবে নির্ধারিত দরেই ১৬৭ টাকা লিটার বিক্রি হচ্ছে বোতলজাত সয়াবিন তেল। তাছাড়া খোলা পাম অয়েল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬৮ থেকে ১৭০ টাকায়।দেশের অন্যান্য জেলায় দর আরো বেশি।

সূত্র আরো জানায়, এক মাসের ব্যবধানে খোলা সয়াবিনের দাম প্রায় ৭ শতাংশ ও পাম অয়েলের দাম ৬ শতাংশ বেড়েছে। এক বছরের ব্যবধানে এই হার আরো বেশি। এখন বিশ্ববাজারেও ভোজ্যতেলের দাম বেশি। যখন কম ছিল তখন দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা ছিলো। ফলে এর সুফল পাইনি সাধারণ মানুষ পায়নি। তাছাড়া এলসি খুলতে গিয়ে আমদানিকারকদের নানা বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে। আর কয়েক বছর ধরে ডলারের দামও অস্থির। এ জন্য আমদানি কমেছে। বাজারে এর প্রভাব আছে।

চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (মার্চ পর্যন্ত) বিশ্ববাজারে প্রতিটন সয়াবিন তেলের দর ছিল ৯৮০ ডলার। দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল থেকে জুন) কিছুটা বেড়ে হয় ৯৮৬ ডলার। তবে জুলাইয়ে দর বেড়ে হয় ১ হাজার ৭৯ ডলার। আগস্টে কিছুটা কমে নেমে আসে ১ হাজার ৩১ ডলারে। এর পর দাম ধারাবাহিকভাবে বাড়তে থাকে। এ সময়ে অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের মূল্য ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ এবং পাম অয়েলের মূল্য ১৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ বেড়েছে।

এদিকে দেশে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে ৯ লাখ ১৯ হাজার ৭৯ টন সয়াবিন এবং পাম অয়েল আমদানি হয়। কিন্তু চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে আমদানি হয়েছে ৭ লাখ ৭০ হাজার ২৩০ টন। এলসি খোলার দুই-তিন মাস পরে দেশে তেল আসে। এরপর প্রক্রিয়াজাত করতে কারখানায় নেয়া হয়। সেখান থেকে প্রস্তুত হয়ে বাজারে আসে। ওসব প্রক্রিয়ায় তিন-চার মাস লেগে যায়। ফলে যখন দাম কমে তখন বিভিন্ন অজুহাত দেখায় ব্যবসায়ীরা। কিন্তু বিশ্ববাজারে দাম বাড়লে দেশে বাড়ানোর জন্য ক্রমাগত চাপ দেয়া হয়। কখনো কখনো ব্যবসায়ীরা আমদানি কমিয়ে দেয়, কখনো সরবরাহ কমিয়ে দেয়। ফলে অস্থির হয়ে ওঠে বাজার।

অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি আবুল হাসেম জানান, প্রথম দফায় ভ্যাট কমানোর পর বাজারে তেমন প্রভাব পড়েনি। দ্বিতীয় দফায় কমার পর মিলাররা প্রতি মণে ৫০০ টাকার মতো কমিয়েছে। দুই দফায় ভ্যাট কমার কারণে লিটারে ১২ থেকে ১৩ টাকা কমার কথা থাকলেও বিভিন্ন কারণে খুচরা পর্যায়ে দাম কমছে না। পাইকাররা যে দরে মিলারদের কাছে তেল পাওয়ার কথা, সেই দরে এতোদিন পাননি। তবে এখন কিছুটা কম দরে পাওয়া যাচ্ছে।

এফএনএস

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Smart iT Host