জাতীয় প্রেস ক্লাবে বৃহস্পতিবার এক স্মরণসভায় বক্তারা বলেছেন, বিশিষ্ট সাংবাদিক আতাউস সামাদ সবসময় অন্যায় ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে কথা বলতেন, কারণ তিনি ছিলেন নীতি ও নৈতিক সাংবাদিকতার প্রতীক।তারা বলেন,আতাউস সামাদ তার সমগ্র জীবনে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার পক্ষে ছিলেন এবং পেশাগত জীবনে তিনি কোনো ক্ষমতার অপব্যবহার করেননি।
তার ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আতাউস সামাদ স্মৃতি পরিষদ আয়োজিত স্মরণ সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।বিখ্যাত এই সাংবাদিক ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনে (বিবিসি) ১২ বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করেছেন এবং বিভিন্ন বাংলা ও ইংরেজি দৈনিকেও কাজ করেছেন। সিনিয়র সাংবাদিক রফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক কবি সোহরাব হাসান, বিশিষ্ট ছড়াকার আবু সালেহ, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ, বিএফইউজে’র সহ-সভাপতি একেএম মহসিন, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, বিএফইউজে’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বাছির জামাল ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান আলোচনায় অংশ নেন। কবি ও সাংবাদিক শামীমা চৌধুরী অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
শওকত মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগ ও এরশাদের শাসনামলে সাংবাদিক আতাউস সামাদকে প্রবল চাপের মধ্যে দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে। কিন্তু তিনি কোনো অপশক্তির কাছে মাথা নত করেননি, বরং সাংবাদিকদের স্বাধীনতার পক্ষেই সব সময় কথা বলেছেন, লিখেছেন। তিনি সর্বদা অসহায় মানুষের জন্য নিবেদিত ছিলেন।
সোহরাব হাসান বলেন, আতাউস সামাদ সাংবাদিকদের শিক্ষক ছিলেন। তাঁর সাংবাদিকতা ছিল বস্তুনিষ্ঠতা ও সত্যবাদিতার ওপর ভিত্তি করে।
এম আবদুল্লাহ বলেন, আতাউস সামাদ একজন বিখ্যাত সাংবাদিক ছিলেন এবং তিনি সারা জীবন ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন।
আবু সালেহ বলেন, আতাউস সামাদ মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন এবং দেশের জন্য কাজ করেছেন।এ কে এম মহসিন সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন ও মিথ্যা মামলা দায়ের বন্ধে অন্তর্র্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
বাসস