1. admin@ddnnewsbd.com : admin : ddn newsbd
  2. mamahbubulalom@gmail.com : mahbubul alom : mahbubul alom
বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ০৬:৩৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ভাঙ্গুড়ায় নারী শিক্ষার্থীদের জন্য হাইজেনিক কর্নার স্থাপন ও রেজাল্ট উত্তোরণে ইউএনও’র উদ্যোগ পাবনার সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতার বাতিঘর শফিউর রহমান খান গভীর সমুদ্রে মাছ ধরা কার্যক্রম জোরদারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার বর্ষায় বাড়ে সাপের আক্রমণ, আমরা প্রস্তুত তো? মায়ের কথা ভুলিয়ে রাখতে যমজ ছেলেদের নিয়ে খেলনার দোকানে বাবা জামায়াত আমিরের হার্টে একাধিক ব্লক, বাইপাস সার্জারির সিদ্ধান্ত ডিসেম্বরের দিকে নির্বাচন হলে অংশ নেবেন খালেদা জিয়া ‎ফিরে আসুক হলুদ খামের দিন চলনবিল অঞ্চলে নৌকার বিকিকিনি: প্রয়োজন ছাপিয়ে ফিরে আসে অতীত শেখ হাসিনা যে অপরাধ করেছে, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনীও তা করেনি: আসিফ নজরুল

বর্ষায় বাড়ে সাপের আক্রমণ, আমরা প্রস্তুত তো?

ডিডিএন ডেস্কঃ
  • আপডেটের সময় : বুধবার, ৩০ জুলাই, ২০২৫
  • ৯ সময় দর্শন

সরীসৃপ প্রাণী সাপ সাধারণত লোকালয় থেকে দূরে থাকতেই পছন্দ করে। তবে বর্ষাকালে তাদের আবাসস্থল সংকুচিত হয়। ফলে তারা চলে আসে লোকালয়ে। অবধারিতভাবেই মানুষের চলাচলের পথে তাদের চলতে হয়।  আর এতেই বাধে বিপত্তি। ভয় পেয়ে মানুষকে কামড় দিয়ে বসে এ প্রাণীটি। ফলে বর্ষাকালে সাপে কামড়ানোর ঘটনা বেড়ে যায়। ‎ ‎বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে প্রতিবছর ৫৪ লাখ মানুষ সাপের কামড়ে আহত হন। এরমধ্যে ১৮-২৭ লাখ মানুষ বিষধর সাপের আক্রমণের শিকার হন। সংস্থাটি আরো বলছে, ৪১৪১০-১৩৭৮৮০ জন সাপের কামড়ে প্রতিবছর মারা যান। ‎ 

বাংলাদেশের মানুষ প্রবলভাবে কুসংস্কার আচ্ছন্ন। সাপের কামড়ে কেউ আহত হলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাকে নিকটস্থ সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে না নিয়ে, নিয়ে যাওয়া হয় ঝাড়ফুঁক করার জন্য, ‘ওঝা’র কাছে।  জানা যায়, বাংলাদেশে প্রায় ১০৮ ধরনের সাপ পাওয়া যায় এর মধ্যে ১৮-৩১ ধরন বিষধর। সুতরাং অধিকাংশ সাপের কামড় প্রাণঘাতী হয় না। তাই ওঝার কাছে নিলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রোগী (আপনা আপনি) ভালো হয়ে যায়! আর এই বিশ্বাসের উপর ভর করে বিষধর সাপের কামড়ে আহত ব্যক্তিকেও সবাই নিয়ে যান ওঝার কাছে। এতে সঠিক সময়ে চিকিৎসা না পেয়ে রোগী মারা যান।
কত গুলো বিষয়ে সচেতন থাকলে বর্ষায় সাপের আক্রমণ থেকে নিরাপদ থাকা যেতে পারে: ‎১। চলাচলে টর্চলাইট, লাঠি ও গামবুট ব্যবহার করা, ‎ও ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করা, ‎২। বাড়িঘর ও আশেপাশ পরিষ্কার রাখা, ‎৩। পঁচা কাঠ, আবর্জনা, ইঁদুর ও ব্যাঙ নিয়ন্ত্রণ এবং  পোকামাকড় নির্মূল করা, ‎৪। বাড়ির ফাটল, গর্ত বন্ধ রাখা, অর্থাৎ সাপ ঢোকার সম্ভাব্য রাস্তা বন্ধ করে দিতে হবে, ‎৫। সাপ কামড় দিলে তৎক্ষণাৎ নিকটস্থ সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে (উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স) নিয়ে যেতে হবে, ‎ ৬। সরকারি উদ্যোগে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে হবে এবং ‘এন্টি ভেনম’ থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় সকল উপকরণের ব্যবস্থা প্রান্তিক পর্যায়ের হাসপাতাল গুলোতে রাখতে হবে।

‎ ‎তবে সকল উদ্যোগে ব্যর্থ হবে, যদি আপামর জনসাধারণ সচেতন না হয়। সুতরাং সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে সাপে কাটা রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসা সহ ‘করণীয়’ এবং ‘বর্জনীয়’ নিয়ে ব্যাপক প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে সবাইকে সচেতন করে, আমরা সাপের বিষে মৃত্যু হার ও সংখ্যা অনেকটা কমিয়ে দিতে পারি। ‎

লেখকঃ

এস এম নাহিদ হাসান (শিক্ষক, সাংবাদিক ও কবি)

 

‎সুত্রঃ জনকণ্ঠ

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Smart iT Host