1. admin@ddnnewsbd.com : admin : ddn newsbd
  2. mamahbubulalom@gmail.com : mahbubul alom : mahbubul alom
শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ০৬:৪০ অপরাহ্ন

ভোটকেন্দ্র দখল ও অস্ত্রবাজি করার ইতিহাস ভুলে যান : সিইসি

ডিডিএন ডেস্ক:
  • আপডেটের সময় : শনিবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৫
  • ২ সময় দর্শন

প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ, এম, এম, নাসির উদ্দিন বলেছেন, নির্বাচন হবে কি, হবে না, এনিয়ে কোন রাজনৈতিক দলের বক্তব্যের ভেতর আমরা যেতে চাই না। প্রধান উপদেষ্টার চিঠি পাওয়ার পর থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি জোরদার করা হয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে রমজানের আগে যাতে নির্বাচন হয় তার জোর প্রস্তুতি চলছে।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যারা ভোটকেন্দ্র দখল ও অস্ত্রবাজি করার ‘নিয়ত’ করেছেন, তাদের কঠোর হুঁশিয়ার করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।

তিনি বলেছেন, ‘তাদের স্বপ্ন এবার ভঙ্গ হবে। আপনারা সেই ইতিহাস ভুলে যান।’

শনিবার (২৩ আগস্ট) সকাল ১০টায় রাজশাহী আঞ্চলিক লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন সিইসি। তিনি বলেন, ‘শুধু একটা দুঃসংবাদ দিতে চাই- যারা ভোটকেন্দ্র দখল করার জন্য নিয়ত করে বসে আছেন, বাক্স দখল করার জন্য নিয়ত করে আছেন, তাদের স্বপ্ন ভঙ্গ হবে। আপনারা এই ইতিহাস ভুলে যান। ভোটকেন্দ্র দখলের ইতিহাস ভুলে যান। ভোটের বাক্স দখলের নিয়ত যদি থেকে থাকে, দয়া করে সরে আসুন এই নিয়ত থেকে। আমরা অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে থাকব এবার ইনশাল্লাহ।’

তিনি বলেন, ‘দাঁতভাঙা জবাব দিতে হবে। তারা ঘুঘু দেখেছে, ফাঁদ দেখে নাই। এবার ফাঁদ দেখবে তারা, যারা মনে করবে কেন্দ্র দখল করে জিতব, বাক্স দখল করে জিতব। সেই সুযোগ ইনশাল্লাহ তারা পাবে না।

এখানে আমরা দেশবাসীকে সাথে নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় এবং আপনাদেরকে (গণমাধ্যমকর্মী) সাথে নিয়ে আমরা এই কাজটা সারব ইনশাল্লাহ।’ ‘আমরা সেভাবেই কাজ করছি। প্রত্যেকটা অফিসারকে সেভাবে নির্দেশনা দিচ্ছি। আগে যে ধরনের হুকুম যেত; আমাদের হুকুম যাবে অ্যাজ পার ল, আমাদের হুকুম যাবে অ্যাজ পার রুল। একদম নিরপেক্ষভাবে যাতে আমাদের অফিসাররা কাজ করে, সেই নির্দেশনা থাকবে। অন্যায় কোন হুকুম আমাদের তরফ থেকে যাবে না। অন্যায় কোন আবদার আমরা কারও কাছ থেকে শুনব না।’

অবৈধ অস্ত্রধারীদেরও হুঁশিয়ারি দিয়ে সিইসি বলেন, ‘অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের অভিযান চলমান প্রক্রিয়া। অভিযান এখনও চলছে, ভোটের আগে জোরেশোরে চলবে। যারা অস্ত্রবাজি করার নিয়ত করেছেন, আপনাদের জন্য অত্যন্ত দুঃসংবাদ। যারা অস্ত্রবাজি করে ভোটে জিততে চাইবেন, তাদের জন্য দুঃসংবাদ অপেক্ষা করছে। অস্ত্র উদ্ধারের একটা অভিযান চলবে।’

বিগত নির্বাচনগুলোতে ভোট জালিয়াতিতে জড়িত নির্বাচন কর্মকর্তারা ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্বে থাকবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘ভাই, আমার তো ৫ হাজার ৭০০ কর্মকর্তা। কোথায় পাঠিয়ে দিব এদেরকে! তাদের মধ্যে যারা স্বপ্রণোদিত হয়ে স্বউদ্যোগে ভোট জালিয়াতিতে জড়িত ছিল, তাদেরকে তো অবশ্যই দায়িত্বে রাখব না।’

তিনি বলেন, ‘আপনারা যতটুকু চিন্তা করছেন, তার চেয়ে বেশি সজাগ আছি আমরা। আমি বিশ্বাস করি, কর্তার ইচ্ছায় কির্ত্তন করে তো, তারা দেখেছে কর্তা কোন দিকে যায়। আমাদের অফিসাররা জানে যে, এখনকার নির্বাচন কমিশন কোন পক্ষপাতিত্ব করছে না। তারা আইন অনুযায়ী নিউট্রলি কাজ করতে চায়। আগে করেছে, যেহেতু আগের নির্বাচন কমিশন থেকে অনেকে চেয়েছে, আগে সরকার চেয়েছে। আমাদের তো সে রকম কোন সমস্যা নেই।’

বর্তমান সরকারের অবস্থান কি, এমন প্রশ্নে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘এই সরকার তো এ পর্যন্ত চায়নি। আমাদের বলতে দ্বিধা নাই। যেদিন সরকার চাইবে, সেদিন নাসির উদ্দিন এই চেয়ারে থাকবে না। এটা ধরে রাখেন। যদি সরকার চাইবে তার হুকুম মতো কাজ করতে, আমাকে এই চেয়ারে দেখবেন না আপনারা। সেই গ্যারান্টি আমি দিতে পারি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা এবার সেনাবাহিনীকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছি। আগে যে স্ট্রাইকিং ফোর্স ছিল, উইদ আউট স্ট্রাইক। প্রয়োজনের সময় নাম দিয়েছিল স্ট্রাইকিং ফোর্স। আগে আমরা তিনটা নির্বাচনে দেখেছি তো। দে আর নেভার স্ট্রাইক, দেখানোর জন্য করেছে। কিন্তু এবার স্ট্রাইক করা হবে। আমাদের সেনাবাহিনী যাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞার ভেতরে অন্তর্ভুক্ত হয়, সে উদ্যোগ নিয়েছি। সেনা, নৌ, বিমান বাহিনী, কোস্টগার্ড, সবাইকে আমরা ইনভলভ করব। সব বাহিনী সম্পৃক্ত থাকবে।’

ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা হলে পুরো আসনেরই ভোট বাতিলের সিদ্ধান্ত হবে জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘আপনারা তো জানেন যে, পুরো আসনের ভোট ক্যানসেল করার জন্য বিধান আমরা করছি। ক্যানসেল করে দেব, যদি অনিয়ম দেখি। যদি দেখি কেউ কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করেছে, পুরা আসনের ভোট ক্যানসেল করে দেব। সুতরাং, একটা সুষ্ঠু, সুন্দর, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য জাতিকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, যতক্ষণ আমাদের সেন্স আছে, সর্বশক্তি দিয়ে নিরপেক্ষভাবে এবং পেশাগত দক্ষতার সাথে আমরা এটা মোকাবিলা করব।’

ভোটের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে, এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উইল নট বি এ প্রবলেম। সরকার এইক্ষেত্রে খুব সজাগ আছে। সরকারের যে সমস্ত এজেন্সি ও বিভাগ ইলেকশনের সঙ্গে জড়িত থাকবে, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা তাদেরকে সমস্ত প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশনা দিয়েছেন। আমাদের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নের জন্য।’

ভোটের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ প্রসঙ্গে এ এম এম নাসির উদ্দিন ‘নির্বাচনে সব দল আসবে কি না, সেটা তো সময় বলে দিবে। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো দেশের মঙ্গল চায়। এন্ড অব দ্য ডে, আমাদের দলগুলো একটা অবস্থানে আসবে। আওয়ামী লীগের তো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত। বিচারের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। বিচারের রায় কি আসে সেটা আমাদের দেখতে হবে। সে পর্যন্ত তো তারা রাজনৈতিক কোনো কর্মকাণ্ডে জড়িত হতে পারবে না।’

পরে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিষয়ে রাজশাহী অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতিবিনিময় করেন সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন। সভায় সভাপতিত্ব করেন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন।

সূত্র: এফএনএস।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Smart iT Host