নওগাঁয় বড় বড় মিলাররা পুরাতন সুটিধরা আটাশ, উনত্রিশ ও জিরাশাইল চাল কেটে ছেটে মেশিনের মাধ্যমে পলিস করে মিনিকেট নামে বাজারে বেশি দামে বিক্রি করছে। বেশি লাভের জন্য বস্তার গায়ে মিনিকেট নামক আকর্ষনীয় লেভেল ব্যবহার করছেন তারা।
মিল মালিক ও ব্যবসায়ীরা বলছেন; জেলার বড় বড় ব্যবসায়ীরা পুরাতন বিভিন্ন চাল কেটে চিকন করে নাম দিয়েছেন মিনিকেট। আর তাদের কারসাজির কারনে ঠকছেন ক্রেতারা।
জানা গেছে, উত্তরের খাদ্যভান্ডারের জেলা নওগাঁ। এই জেলায় উৎপাদিত ধান ও চালের সুনাম রয়েছে দেশজুড়ে। তবে মিনিকেট চাল নিয়ে রয়েছে নানা জল্পন-কল্পনা। এসব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটালেন ব্যবসায়ী নেতা ও মিল মালিকরা।
ক্রেতারা বলছেন; তারা প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছেন। কারন পুরাতন, নষ্ট ও অন্য জাতের চাল ছোট করে মিনিকেট নাম দিয়ে বেশি দামে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। তাই তারা সরকারের নিকট দাবী করেছেন যে চাল যে বস্তায় থাকবে সেই বস্তায় সেই নাম ব্যবহার করতে হবে।
এ বিষয়ে নওগাঁর শেখ ফারিহা রাইস মিলের স্বত্বাধিকারী শেখ ফরিদ উদ্দিন বলেন, বহুদিন গুদামে পড়ে থাকা সুটিধরা পুরাতন ও বিভিন্ন জাতের মোটা চাল বড় বড় অসাধু মিলাররা মেশিনে ছোট করে কেটে মিনিকেট নাম দিয়ে বিক্রি করছে। এই মিনিকেট চাল নিয়ে মিলার ও ব্যবসায়ীদের মাঝে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
এদিকে নওগাঁ পৌর ক্ষুদ্র চাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক উত্তম সরকার বলেন, বড় বড় মিলাররা জিরাশাইল চাল কেটে ছেটে পলিসের পর চিকন করে বস্তায় ভরে। আর তার গায়ে স্পেশাল মিনিকেট লিখছেন। এতে করে ক্রেতার পাশাপাশি আমরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ঠকছি। তাই যে চাল সেই বস্তার গায়ে চালের নাম লিখে বিক্রি করলে ক্রেতারা প্রতারিত হবে না। বাজারে বেশি বিক্রির উদ্দেশ্যেই কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা মিনিকেট নাম দিয়ে এ সিন্ডিকেট করছেন।
নওগাঁ জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার বলেন, জিরাশাইল চাল থেকেই মূলত মিনিকেট চাল তৈরি। জিরাশাইল চাল জায়গাভেদে বিভিন্ন নামে ব্যবহার হচ্ছে অর্থাৎ যেটা জিরাশাইল সেটাই মিনিকেট। তাই ধানের সঠিক নামকরন থেকে সঠিক চালের নামকরন করার দাবী এই ব্যবসায়ী নেতার।