শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৩৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
অস্বাভাবিক গরমেও খুলছে প্রাথমিক বিদ্যালয়, বন্ধ থাকবে প্রাক-প্রাথমিক ভাঙ্গুড়ায় দাদন ব্যবসার ফাঁদে পড়ে নি:স্ব হচ্ছে ক্ষুদ্র কৃষক ও ব্যবসায়ী সর্বজনীন পেনশন স্কিম- ভাঙ্গুড়ায় ৪ মাসে একাউন্ট ওপেন হয়েছে মাত্র ১৪২ ভাঙ্গুড়ায় প্রাণি সম্পদ বিভাগের জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমাপনী ঘটলো সেবা সপ্তাহের ভাঙ্গুড়ায় ৭ দিন ব্যাপি বই মেলা জমে উঠেছে উপজেলায় এমপি মন্ত্রীর সন্তান-স্বজনরা প্রার্থী হলে ব্যবস্থা উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের হস্তক্ষেপ বন্ধে কঠোর নির্দেশনা : ওবায়দুল কাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় দিন ১৮ এপ্রিল। হোসেন আলী ভারতে স্বাধীন বাংলার পতাকা উড়ান আজ ভাঙ্গুড়ায় দুগ্ধজাত ক্ষুদ্র শিল্পের সফল উদ্যোক্তা কলেজ ছাত্র অপু ঘোষ ভাঙ্গুড়ায় নতুন ইউএনও’র যোগদান- জ্ঞানের নিষ্প্রভ বাতিঘর কি আবার আলোকিত হবে ?

চাকুরী ছেড়ে নৌকা পেয়েও হারলেন তিনি

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেটের সময় : সোমবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৩৮৮ সময় দর্শন
চাকুরী ছেড়ে নৌকা পেয়েও হারলেন তিনি
নুর-উন-নবী মন্ডল দুলাল

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধিঃ
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় সরকারি চাকুরি ছেড়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে গিয়ে পেয়েছিলেন নৌকা খানমরিচ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নুর-উন-নবী মন্ডল দুলাল। তবুও বিদ্রোহী প্রার্থীর কাছে প্রায় ২ হাজার ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন । বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা ও ভোটারদের নানা সমীকরণ চলছে। স্থানীয়দের কেউ কেউ বলছে এখন তিনি দু-কুলই হারিয়েছেন। প্রায় ১৩ বছর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চাকুরির বয়স থাকতেই তিনি স্বেচ্ছায় অবসর নিয়েছিলেন।

জানা গেছে, খানমরিচ ইউনিয়নের ময়দানদীঘি এলাকার বাসিন্দা নুর-উন-নবী মন্ডল দুলাল। দোহারী গ্রাম বেসরকারি রেজিষ্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের চাকুরী দিয়ে তার কর্মজীবন শুরু হলেও পরবর্তীতে ওই স্কুল জাতীয়করণ হলে তার চাকুরিও রাজস্ব খাতে চলে যায়। কিন্তু জাতীয় করণের আগেই জনগণের সেবা করার লক্ষ্যে তিনি ২০১১ সালে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেন । কিন্ত নির্বাচন কমিশন কর্তৃক তা বাতিল হয়। পরে আপীল করে মনোনয়ন বৈধ্যতা পেলেও নির্বাচনে জয়ী হতে পারেন নি এবং ২০১৬ সালে পুনরায় চেয়ারম্যান পদে ইউনিয়ন আওয়ামীলী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুর রহমান আসদের নিকট তিনি পরাজয় বরণ করেন। পরবর্তীতে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশনের নীতিমালা আনুয়াযী সরকারি চাকুরি বাধা হওয়ার কারণে চাকুরির বয়স প্রায় ১৩ বছর থাকতেই স্বেচ্ছায় অবসরে যান।

এরপর থেকেই তিনি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে জনসংযোগ করতে থাকেন এবং নৌকা প্রতীক না পেলেও তিনি নির্বাচন করবেন বলে ঘোষনাও দিয়েছিলেন। কিন্তু কাকতালীয় ভাবে তিনি উপজেলা অওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুর রহমান আসাদকে পেছনে ফেলে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পেয়ে যান। এরপরও দুই স্ত্রীকে দিয়ে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করে তিনি সমালোচনায়ও পড়েন।

কিন্তু গত রবিবার (২৬ ডিসেম্বর) নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী মনোয়ার হোসেন খান মিঠু (ঘোড়া প্রতীক) ৮ হাজার ৯৫১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন ও নুর-উন-নবী মন্ডল দুলাল (নৌকা প্রতীক) ৬ হাজার ৯২৭ ভোট পেয়ে হেরে যান। এতে তিনি সরকারি চাকুরি ছেড়ে ন্যেকা প্রতীক পেয়ে বিদ্রেহীর কাছে হেরে গেলেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন - রায়তা-হোস্ট সহযোগিতায় : SmartiTHost
smartit-ddnnewsbd