সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার রায় খারাপ নজির বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার বিশেষ আদালতে ঘোষিত রায়ের প্রসঙ্গ টেনে বিকেলে এক আলোচনা সভায় তিনি এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে নসরুল হামিদ মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) উদ্যোগে ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়। পরে জাসাস শিল্পীদের কণ্ঠে পরিবেশিত হয় দেশাত্মবোধক গান।
গয়েশ্বর বলেন, ‘এটা (রায়) নিন্দা করারও কিছু নেই, গ্রহণ করারও কিছু নেই। আমার ব্যক্তিগত মত হচ্ছে, এসকে সিনহা যখন প্রধান বিচারপতি ছিলেন যতক্ষণ সরকারের খায়েস মিটাতে পারছে ততক্ষণ ভালো ছিলেন। যখন সরকারের খায়েস মিটাতে পারেন নাই…। এটা কিন্তু একটা উদাহরণ সৃষ্টি হলো, দৃষ্টান্ত সৃষ্টি হলো যে, প্রধান বিচারপতির ১১ বছরের জেল হইছে। তাহলে আজকে যারা আদালতে আছেন তাদেরকে কোনো দিন আদালতে আবার এমন জায়গায় যেতে হবে না তার তো নিশ্চিয়তা নেই। সরকারকে সন্তুষ্ট করে যদি চাকরি রাখতে হয়, পরবর্তী সরকারকে সন্তুষ্ট করতে তো আবার জেলে যেতে হতে পারে। সুতরাং কোনোদিন খারাপ প্রেসিডেন্স কিন্তু কোনো জাতির জন্য মঙ্গল না।’
গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ‘এই কথাটা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বুঝেন না। যখন বুঝবেন তখন তার কিছু করারও থাকবে না, বলারও থাকবে না, কিছুই করার থাকবে না।’
তিনি বলেন, ‘রাজনীতি যদি জনগণের জন্য হয় তাহলে ক্ষমতায় থাকার লোভ থাকার কথা না। আর ক্ষমতাটা যদি শুধু লুটপাট আর আখের গোছানোর জন্য হয় তাহলে শেখ হাসিনা ইজ পারফেক্ট ইন বাংলাদেশ। সেক্ষেত্রে সে (শেখ হাসিনা) সফল। কিন্তু দেশ পরিচালনায় জনগনের আকাঙ্ক্ষা বিপরীতে উনি দাঁড়িয়ে আছেন। এখন হাসিনার শক্তি বাংলাদেশে না থাকলেও শেখ হাসিনা নিজেই বাংলাদেশ সর্বপ্রকার শক্তি হয়ে গেছে। এটাই বিচ্ছিন্নতা।’
সংগঠনের আহ্বায়ক হেলাল খানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন— বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন উজ্জ্বল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, জাসাসের যুগ্ম আহ্বায়ক লিয়াকত আলী প্রমুখ।