প্রতিনিধি,ভাঙ্গুড়া : পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিল উপলক্ষ্যে পাবনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এডভোকেট মাসুদ খন্দকার ভাঙ্গুড়ায় আগমন করলে তাকে নিয়ে দলের শত শত নেতাকর্মী বিশাল মটরসাইকেল সো-ডাউন দেন। শনিবার(৬ সেপ্টেম্বর ’২৫) সকাল সাড়ে দশটায় ভাঙ্গুড়া রেল গেটে মাসুদ খন্দকারকে রিসিভ করতে বিশাল মটোর সাইকেল বহর নিয়ে অপেক্ষা করে উপজেলা বিএনপির কর্মীবৃন্দ। এর নেতৃত্ব দেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক নূর মুজাহিদ স্বপন,সি:যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক আবু হেনা মোস্তফা কামাল রেজা, পৌর বিএনপির সভাপতি মো.রফিকুল ইসলাম,সাধারণ সম্পাদক ছাইদুল ইসলাম বুরুজ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ । মাসুদ খন্দকারকে বহন করা এই বিশাল শো-ডাউন থেকে তার সমর্থনে মুহূর্মুহূ ম্লোগান দেওয়া হয়। তখন নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হয়।
শনিবার উপজেলার উদয়ন একাডেমীর(মাধ্যমিক বিদ্যালয়) মাঠ প্রাঙ্গণে আয়োজিত পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন বিএনপির এই কাউন্সিলে এড.মাসুদ খন্দকার ছিলেন প্রধান অতিথি। আগস্ট ‘২৪ গণঅভ্যুথ্থান এর আগে ও পরে পাবনা-৩ এলাকার গ্রামগঞ্জে চষে বেড়িয়েছেন তিনি। এ সময় ফ্যাসিবাদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে তিনি দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যান। প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে তিনি জনসভা করেন। ফলে নির্যাতিত বিএনপির নেতাকর্মীরা ঘুড়ে দাঁড়াতে সক্ষম হয়। এজন্য তিনি আওয়ামী দু:শাসনের শিকার হয়ে জেল জুলুম সহ্য করেন। ফলে তিনি সবার কাছে হয়ে ওঠেন বিশ্বস্ত জননেতা।
মাসুদ খন্দকার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাহসী নেতা, সাবেক পাবনা জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক, শহীদ জিয়ার লড়াকু সৈনিক, হবিবুর রহমান হল ছাত্র সংসদের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক, রাকসুতে ছাত্রদল মনোনীত যুগ্ম সম্পাদক ও ভাঙ্গুড়া উপজেলা বিএনপির দু’বারের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি হিসেবেও তিনি দলে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। তিনি আওয়ামী দু:শাসনের সময় দমন পীড়ন ও ফ্যাসিবাদের একচ্ছত্র আধিপত্যের শিকার হয়ে জেলজুলুম ও নির্যাতিত হওয়ার পরও পাবনা বার কাউন্সিলে নিরংকুশ ভোটে সভাপতি নির্বাচিত হন। এসব কারণে এলাকায় তার ব্যাপক সমর্থন ও জনপ্রিয়তা রয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-৩ এর মানুষ তার হাতেই ধানের শীষের প্রতীক প্রত্যাশা করেন- এমন দাবী করেছেন জাতীয়তাবাদি দলের অসংখ্য মানুষ।