অনলাইন ডেস্কঃ
ইন্টারনেট ডেটা শেষ হলেও ‘টেক্সট অনলি ফেসবুক’ ও ‘ডিসকভার অ্যাপ’ চালিয়ে যেতে পারবেন গ্রাহকরা। টেক্সট অনলি ফেসবুকের মাধ্যমে ইন্টারনেট ডেটা ছাড়া গ্রাহকরা ফেসবুক ও মেসেঞ্জারের টেক্সট অনলি সংস্করণে যুক্ত থাকতে পারবেন। এ ছাড়া ডিসকভারের ওয়েব ও অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ব্যবহারের জন্য অপারেটরগুলো গ্রাহকদের প্রতিদিন ১০ মেগাবাইট ডেটা বিনামূল্যে দেবে। এ ডেটা দিয়ে শুধু ফেসবুকের প্রতিষ্ঠান ডিসকভারের সেবা পাওয়া যাবে। আজ মঙ্গলবার টেলিযোগযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি কার্যালয়ে এ সেবা চালুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
টেক্সট অনলি ফেসবুকের শুধু টেক্সট (লেখা) প্রদর্শিত হবে, কোনোরূপ ছবি কিংবা ভিডিও দেখা যাবে না। এই পরিসেবার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা পাঠ্যভিত্তিক তথ্য যেমন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজ, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি সংক্রান্ত নির্দেশনা, অন্যান্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য যেমন ফেসবুকে কোভিড-১৯ তথ্যকেন্দ্র সম্পর্কে জানতে পারবেন। মঙ্গলবার থেকেই গ্রামীণফোন এ সেবা দিচ্ছে। শিগগির অন্যান্য অপারেটর এ সেবা শুরু করবে বলে জানিয়েছেন বিটিআরসির মহাপরিচালক (সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস)ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ।
ডিসকভার অ্যাপটি ব্যবহারের জন্য ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থাকার বাধ্যবাধকতা নেই। তবে প্রথমে অ্যাপটি ডাউনলোড করতে হবে। গ্রাহকরা দৈনিক ও মাসিকভিত্তিতে অপারেটর অনুযায়ী বিটিআরসি অনুমোদিত ডেটা সীমার মধ্যে অ্যাপ/মোবাইল ওয়েবের মাধ্যমে বিনামূল্যে ব্রাউজিং উপভোগ করতে পারবেন। তবে একজন গ্রাহক তার দৈনিক ও মাসিক ব্যবহারের সীমা অতিক্রম করার পর নতুন ডেটা প্যাক কেনা না পর্যন্ত কোনো সাইটে প্রবেশ করতে পারবেন না।
অ্যাপটির মাধ্যমে ফ্রি ব্রাউজিং এর সময় গ্রাহক কোনো ছবি বা ভিডিও দেখতে পারবেন না। তবে উল্লিখিত বিষয়বস্তু দেখতে চাইলে গ্রাহককে ডেটা প্যাক কিনতে হবে। এ অ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহকরা সরকারি সংস্থার ওয়েবসাইটসহ অন্যান্য সাইটেও প্রবেশ করতে পারবেন। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা জাতীয় পরীক্ষার প্রস্তুতির বিভিন্ন উপকরণসহ স্কুল প্রকাশিত সব তথ্য দেখতে পারবেন।
বিটিআরসির মহাপরিচালক জানান, গ্রাহকরা ডিসকভারের মাধ্যমে ‘লো-ব্যান্ডউইথ’ ফিচার যেমন- ফ্রি ডেটা দিয়ে বার্তা ও আইকন দেখতে পারবেন। এর মাধ্যমে গ্রাহকরা শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও চাকরি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় বিষয়ের সঙ্গে সবসময় যুক্ত থাকতে পারবেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার জানান, ইন্টারনেট ছাড়া ফেসবুক ব্যবহার একটি অসাধারণ উদ্যোগ। প্রান্তিক জনগণের তথ্য আদান-প্রদান এবং কানেকটিভিটি নিশ্চিত করে ‘ডিজিটাল ডিভাইড’ কমাতে এটি সহায়তা করবে।