অনলাইন ডেস্কঃ
সরকারের পতন ঘটলে গণতন্ত্র ফিরবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেছেন, ‘গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হলে আমাদের ইষ্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে রাজপথে সফল আন্দোলন করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই সরকার যতক্ষণ ক্ষমতায় থাকবে ততো দেশের ক্ষতি। জিনিসপত্রের দাম লাগামহীন, ক্ষমতাসীনদের লুটপাট নিয়ন্ত্রণহীন। দেশে গণতন্ত্রের লেশ মাত্র নেই। এখান থেকে পরিত্রানের একমাত্র উপায় এই সরকারের পতন। সরকারের পতন ঘটলে গণতন্ত্র ফিরবে, গণতন্ত্রের মাতা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি মিলবে। গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হলে আমাদের ইষ্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে রাজপথে সফল আন্দোলন করতে হবে।’
আজ শনিবার বিকেলে বিএনপির উদ্যোগে কাজী বশির মিলনায়তনে (মহানগর নাট্যমঞ্চ) ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন এই বিএনপি নেতা।
সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘৭৫-এর ৭ নভেম্বর সৈনিক-জনতা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমাদের দেশমাতৃকার স্বাধীনতা সংহত করেছিল। ১৯৭৫ সালের এ দিনে স্বাধীনতার চেতনায় আধিপত্যবাদী শক্তির নীল নকশা প্রতিহত করে এ দেশের বীর সৈনিক ও জনতা। সম্মিলিত প্রয়াসে জনগণ নতুন প্রত্যয়ে জেগে উঠে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার স্বতঃস্ফুর্ত মাধ্যমে জাতি পেয়েছিল এক যোগ্য নেতৃত্ব জিয়াউর রহমানকে। সফল রাষ্ট্রনায়ক জিয়াউর রহমান জাতীয়তাবাদী রাজনীতির উন্মেষ ঘটিয়ে জাতিকে উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির মহাসড়কে উঠিয়েছিলেন। এ জন্যই আমাদের জাতীয় জীবনে এই বিপ্লবের গুরুত্ব তাৎপর্যমণ্ডিত।’
সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর পরিচালনায় বক্তব্য দেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বিএনপি নেতা শামসুজ্জামান দুদু, আব্দুস সালাম, আমান উল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, আমিনুল হক, রফিকুল আলম মজনু, আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল ও হাসান জাফির তুহিনসহ প্রমুখ।