অনলাইন ডেস্কঃ
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় তৃতীয় দফার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনে স্থান পেয়েছেন ‘বিএনপি নেতা’ জহুরুল হক। কুড়িগ্রাম জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাকর্মীর অভিযোগ, জহুরুল হক ২০০৪ সালে নাগেশ্বরী উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ছিলেন। পরবর্তীতে ৯ বছর ওই এলাকায় চেয়ারম্যানও ছিলেন। এ ঘটনায় যুবলীগ নেতা নারায়নপুর ইউনিয়নের নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী বেলাল হোসেন স্থানীয় নেতাদের সুপারিশকৃত একটি লিখিত অভিযোগপত্র প্রধানমন্ত্রী বরাবর দাখিল করেন। এ ঘটনায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় তৃতীয় দফার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনে স্থান পেয়েছেন বিএনপি নেতা জহুরুল হক। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মশিয়ার রহমান ও নেতাকর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, জহুরুল হক ছাত্রজীবন থেকে বিএনপি করতেন এবং নারায়নপুর ইউনিয়নের বিএনপির সক্রিয় নেতা ছিলেন। তিনি সদ্য আওয়ামী লীগে যোগদান করে সদস্য হয়ে এবারে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন। এই বিএনপি নেতাকে নৌকা মার্কা না দিয়ে প্রকৃত আওয়ামী লীগ নেতাকে মনোনয়ন দিলে দলের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আসবে।
জহুরুল হক দাবি, ‘আমি বিএনপি করেছি তাতে কী হয়েছে। আমি বঙ্গবন্ধুর সৈনিক। আমাকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। আমি নির্বাচন করব।’
আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, গত ১৯ অক্টোবর উপজেলার বল্লভেরঘাস ইউনিয়ন মাদারগঞ্জ হাইস্কুলে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী বাছাইয়ে সভা হয়। এতে তৃণমূলের রায়ে ৩৭ ভোট পেয়ে বেলাল হোসেন প্রথম, ৭ ভোট পেয়ে নব্য আওয়ামী লীগ জহুরুল হক দ্বিতীয় ও ৬ ভোট পেয়ে তৃতীয় বর্তমান চেয়ারম্যান মজিবর রহমান।
নারায়নপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও নৌকা মনোনয়ন প্রত্যাশী মজিবর বলেন, ‘তৃণমুল আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ তিনজনের নাম জেলায় পাঠান। কিন্তু জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা আমাকে বাদ দিয়ে ২ জনের নাম কেন্দ্রে পাঠায়।’
তৃণমুল ভোটে প্রথম নির্বাচিত জয়ী প্রার্থী বেলাল হোসেন বলেন, ‘আমাকে নৌকা প্রতীক থেকে বঞ্চিত করে সদ্য আওয়ামী লীগ যোগদানকারী জহুরুল হককে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তাই আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট কুড়িগ্রাম জেলা ও উপজেলা নেতাদের সুপারিশ স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ দিয়েছি। আমি নারায়নপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা মার্কার প্রত্যাশা করছি।’
কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু বলেন, ‘কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সিন্ধান্তের বাইরে আমাদের কিছু করার নেই।’ এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম-১ আসনের সংসদ সদস্য আসলাম হোসেন সওদাগর বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমার কোনো মন্তব্য নাই।’