গরমকাল আসলেই শুরু হয়ে যায় ঘামাচির সমস্যা। কপাল, গলা, বুক, হাত ছেয়ে যায় ছোট ছোট লালচে ফুসকুড়িতে। এই ঘামাচির সমস্যা অসহ্য যন্ত্রণাতে পরিণত হয়। তবে ঘামাচির যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় আপনার বাড়িতেই আছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক।
দই
রোদ থেকে ফিরে গোসল করে হালকা মুছে নিন। যে জায়গাগুলোয় ঘামাচি হয়েছে, তার উপর দইয়ের প্রলেপ লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট মতো। দইয়ে প্রচুর পরিমাণে ব্যাক্টেরিয়া প্রতিরোধক প্রাকৃতিক পদার্থ রয়েছে। এতে ত্বক ঠান্ডাও হবে। ১৫ মিনিট পর ধুয়ে নিয়ে আলতো করে মুছে নিন। ভুলেও ঘষতে যাবেন না।
চন্দন
ব্রণ, ফুসকুড়ি, ঘামাচির মতো সমস্যা চন্দন যে দূর করে দিতে পারে, তা অনেক আগে থেকেই শুনে আসছি আমরা। চন্দনের গুড়ো গোলাপ পানিতে মিশিয়ে ঘামাচির উপর লাগাতে পারেন। চন্দন বেটেও লাগাতে পারেন। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে নেবেন।
মুলতানি মাটি
গোলাপ জলের সঙ্গে মুলতানি মাটি মিশিয়ে একটা প্যাক বানিয়ে নিয়ে লাগিয়ে দেখুন। পুদিনা পাতা বেটে, তার সঙ্গে মুলতানি মাটি আর ঠান্ডা দুধের প্রলেপ বানিয়েও ঘামাচির উপর লাগাতে পারেন। এতে করে ত্বক ঠাণ্ডা হবে সেই সাথে জ্বালাভাবটাও কমে আসবে।
যে জিনিসগুলি মাথায় রাখবেন
১। সিনথেটিক কাপড় সরিয়ে রেখে সুতির পোশাক পড়ুন। ত্বককে হাওয়া লাগানোর সুযোগ দিন।
২। ঘামাচি কখনও ঘষবেন বা চুলকাবেন না।
৩। শরীর ঠান্ডা রাখতে ডাবের জল বা লেবুর সরবত খান।
৪। ত্বক সব সময় শুকনো রাখার চেষ্টা করুন। ঘেমে গেলে মুছে ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। চিকিৎসকের পরামর্শে বোরিক পাউডারও লাগাতে পারেন।
সূত্র: আনন্দবাজার