অজান্তেই যেকোনো সময় সম্পর্কে ভাঙন ধরতে পারে। দীর্ঘদিনের রাগ, অভিমান ও ক্ষোভ মনের মধ্যে পুষলে একসময় পরস্পরের মধ্যে শ্রদ্ধাবোধ ও ভালোবাসা কমতে শুরু করে।
মানসিকভাবে তখন পরস্পর আলাদাভাবে জীবনে মোড় নেওয়ার প্রস্তুতি নেয়। হয়তো আপনি জানতেও পারবেন না, আপনার দীর্ঘদিনের সম্পর্কে কীভাবে ভাঙন ধরছে!
তবে এ সমস্যা যদি প্রাথমিকভাবে সমাধান করা যায় বোঝাপড়ার মাধ্যমে; তাহলে বিচ্ছেদ থেকে মুক্তি মিলবে। কিছু লক্ষণ রয়েছে যেগুলো ইঙ্গিত দেয় সম্পর্কে ভাঙন ধরছে।
প্রথম দিকে যদি পরস্পর নিজেদের মধ্যে আলাপ করে সব সমস্যার সমাধান করা যায়, তবেই জীবন হবে সুখের। যদি এসব ইঙ্গিত ভ্রূক্ষেপ না করেন তবে চোখের সামনেই সম্পর্কের ইতি টানতে হবে শিগগিরই! সম্পর্কে ভাঙন ধরেছে বুঝে নিন কিছু লক্ষণে
*সঙ্গী মন খুলে কথা না বললে: দাম্পত্য কলহ সব পরিবারেই হয়ে থাকে। তাই বলে ঝগড়া করে দিনের পর দিন কথা না বলে থাকাটা ভালো দিক নয়। আপনার সঙ্গী তার ইচ্ছা-অনিচ্ছা, ভালো বা খারাপ লাগার মুহূর্তগুলো হঠাৎ করে শেয়ার করা বন্ধ করে দিলে সজাগ হয়ে উঠুন।
যখন আপনার উপর থেকে তার ভরসা চলে যাবে; তখনই সে তার ব্যক্তিগত কোনো কথা আপনার সঙ্গে শেয়ার করবে না। তাই এমন হলে অবশ্য়ই আপনার পার্টনারের সঙ্গে সরাসরি কথা বলুন।
অনেক সময় ছোট ছোট পদক্ষেপ অনেক বড় সমস্যার সমাধান করে দেয়। আপনার পার্টনারের দোষ না খুঁজে একবার শান্ত হয়ে বসে নিজেরও দোষ বোঝার চেষ্টা করুন।
*একে অপরের সঙ্গে দ্বন্দ্ব: সম্পর্কের সমীকরণগুলো সহজ, কিন্তু জটিল করে ফেলি আমরা। দীর্ঘদিন মনের মধ্যে রাগ ও ক্ষোভ চেপে রাখলে একসময় সম্পর্কে ভাঙন ধরে। তখন একে অপরের সঙ্গে কথা বলতেও ইচ্ছে করে না।
এমন সমস্যায় যদি আপনি ভুগে থাকেন; তাহলে এখনই এ সমস্যার সমাধান করুন। সরাসরি একে অপরের সঙ্গে সময় নিয়ে কথা বলুন। তাহলে হয়তো সমস্যা সমাধান হলেও হয়ে যেতে পারে।
*শারীরিক সম্পর্কে অনীহা: পরস্পরের মধ্যে ভালোবাসা কমে গেলে, সেখানে শারীরিক সম্পর্কেও অনীহা চলে আসে। সঙ্গীর সঙ্গে দীর্ঘসময় পর ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত কাটাতে গিয়েও যদি তার অনিচ্ছা প্রকাশ পায়; তাহলে আপনার অবশ্যই ভাবার প্রয়োজন আছে। এটি সম্পর্ক ভাঙনের ইঙ্গিত হতে পারে।
*সবসময় ব্যস্ত থাকা: কর্মব্যস্ত জীবন কাটালেও পরিবারের জন্য সময় দেওয়া আবশ্যক। আপনার সঙ্গী যখন সবসময় ব্যস্ততা দেখাবে, এমনকি ছুটির দিনগুলোতেও কাছাকাছি থাকবে না; তখন বুঝতে হবে সে কোনো বিষয় লুকাচ্ছে!
*ইগো বিচ্ছেদের কারণ: দাম্পত্য সম্পর্কে ইগো থাকলে তা দীর্ঘস্থায়ী করা কঠিন হয়ে পড়ে। এজন্য একজনকে দু’জনকেই ডেডিকেটেড হতে হবে। ছাড় দিতে হবে সম্পর্ক টেকাতে। দু’জনের মধ্যেই যদি ইগোর সমস্যা থাকে; তাহলে সে সম্পর্ক দ্রুত ভেঙে যায়।