1. admin@ddnnewsbd.com : admin : ddn newsbd
  2. mamahbubulalom@gmail.com : mahbubul alom : mahbubul alom
বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ০৯:১২ পূর্বাহ্ন

করোনাকালে বেড়েছে বাল্যবিবাহ

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেটের সময় : সোমবার, ৮ মার্চ, ২০২১
  • ২১০ সময় দর্শন

অনলাইন ডেস্ক : করোনাকালে বেড়েছে নারী উন্নয়নে বড় বাধা বাল্যবিবাহ, যা নারী নেতৃত্বের পথেও অন্তরায়। করোনাকালে স্কুলগুলো বন্ধ, কাজ না থাকা, যৌন সহিংসতার ঝুঁকি বাড়ায় বাল্যবিবাহের সংখ্যা। বাল্যবিবাহ দূর করে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকার দায়বব্ধ।

জাতিসংঘ শিশু তহবিল ইউনিসেফ-এর সর্বশেষ জরিপে দেখা গেছে বাল্যবিবাহের দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বের চতুর্থতম অবস্থানে রয়েছে। বাংলাদেশে মেয়েদের ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই ৬৬ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হয়ে যায়। এর মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশের বিয়ে হচ্ছে ১৫ বছরের আগেই।

প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষায় অংশগ্রহণ ছেলেদের সমান বা কিছু বেশি হলেও উচ্চশিক্ষা এবং চাকরিতে অনেক পিছিয়ে মেয়েরা। বর্তমানে সরকারি চাকুরেদের মধ্যে নারী মাত্র ২৭ শতাংশ। আর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে নারী ৩৬ দশমিক ৭ শতাংশ।

মেয়েদের এই পিছিয়ে পড়ার অন্যতম কারণ বাল্যবিবাহ। শিশু মেয়ে হয় শিশু মা। ফলে বাড়ে মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার। বাল্যবিবাহ বন্ধে এখনই উদ্যোগ না নিলে চ্যালেঞ্জ হবে এসডিজি লক্ষ্য অর্জনে।

বিশ্বজুড়ে ১৮ বছরের বেশি বয়সে বিবাহিত মেয়েদের তুলনায় ৫০ শতাংশের বেশি শারীরিক এবং যৌন নির্যাতনের শিকার হয় ১৫ বছরের কম বয়সি বিবাহিত মেয়েরা।

টিম অ্যাসোসিয়েট জানায়, ১৫ বছরের কম বয়সি কিশোরীদের প্রতি ১০ জনে এক জন, ১৯ বছরের কম বয়সি প্রতি তিন জনে এক জন সন্তান জন্ম দিচ্ছে। এতে করে মায়ের পাশাপাশি শিশু স্বাস্থ্য ঝুঁকিও থাকে। এমনই এক পরিস্থিতিতে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে দেশব্যাপী পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২১।

এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘করোনাকালে নারী নেতৃত্ব গড়বে নতুন সমতার বিশ্ব’। জাতিসংঘের নারীবিষয়ক সংস্থা প্রতি বছর নতুন নতুন প্রতিপাদ্য নিয়ে নারী দিবস পালন করে।

মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. মালেকা বানু বলছেন, আমাদের পর্যবেক্ষণ বলে স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি এবং সুশীল সমাজ চাইলে বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে পারবে।

বাল্যবিবাহের ফলে সামাজিকভাবে নারী-পুরুষের প্রকট বৈষম্য থাকার কারণেও নারীরা তাদের অধিকারগুলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সভাপতি নাসিমা আক্তার জলি বলেন, বাল্যবিবাহ রোধে সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

দারিদ্র্য ও অশিক্ষার জন্য পরিবারগুলো বাল্যবিবাহ দেয়। তাই পরিবারের দারিদ্র্য দূর করে যেন বাল্যবিবাহ রোধ করতে পারি ঐ উদ্যোগ নিতে হবে। বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের প্রতিও সচেতন হওয়ার আহ্বান করেন তিনি।

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Smart iT Host