1. admin@ddnnewsbd.com : admin : ddn newsbd
  2. mamahbubulalom@gmail.com : mahbubul alom : mahbubul alom
শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:১৬ পূর্বাহ্ন

শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা রোডম্যাপ চায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেটের সময় : রবিবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২১
  • ৩৩৮ সময় দর্শন

সংবাদ ডেস্ক:  নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হলেও এখনো ক্লাসে ফিরতে পারেনি শিক্ষার্থীরা বরং নতুন করে আগামী ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়েছে সব স্কুল-কলেজের। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার মৌখিক ঘোষণা দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নিজেই। কিন্তু সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন নিয়েও যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। কেননা ওই ঘোষণার দু’দিন পরেই সেতু মন্ত্রী বলেছেন মার্চের আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে না। অন্য দিকে আগামী এপ্রিল পর্যন্ত মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন বইয়ের অ্যাসাইনমেন্ট প্রস্তুত করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। ফলে কবে খুলবে স্কুল কলেজ তা এখনো অনিশ্চিত। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে রোড ম্যাপ চায় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।

এ দিকে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিসহ সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন। গতকাল শনিবার সংবাদ সম্মেলনে তারা এই দাবি জানায়। ছাত্র ইউনিয়ন আশঙ্কা করছে দীর্ঘ দিন ক্লাস পরীক্ষার বাইরে থাকার পর হঠাৎ করে পুনরায় শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় ফিরিয়ে আনার কাজটি সহজসাধ্য হবে না। তাই আগে থেকেই সুনির্দিষ্ট একটি রোডম্যাপ থাকলে সেই অনুযায়ী শিক্ষার্থী অভিভাবক ও শিক্ষকরা পড়ালেখার প্রস্তুতি নিতে পারবেন।

করোনার এই সময়ে নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হলেও স্কুল না খোলায় সন্তানদের পড়াশোনা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন অনেক অভিভাবক। অভিভাবকদের অনেকেই জানান, একটি বছর করোনার কারণে শিক্ষার্থীদের ক্লাস পরীক্ষা ছিল বন্ধ। তাদের পঠন-শিখনেও যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। ধারণা ছিল নতুন শিক্ষাবর্ষের শুরুতে ক্লাস চালু হলে হয়তো শিক্ষার্থীরা আগের বছরের পড়াশোনার ঘাটতি কিছুটা হলেও পূরণ করতে পারবে। কিন্তু শীতকালে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ভয়ে স্কুল কলেজ এখনো বন্ধই রয়েছে। অভিভাবকদের দাবি বৈশ্বিক মহামারী করোনার প্রভাবে গত বছরের মার্চ মাস থেকে সারা দেশের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ আছে। অনেক মানুষ কর্মহীনও হয়ে পড়েছে। নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতো হয়নি বরং দরিদ্রতার হার বেড়েছে। দীর্ঘকাল শিক্ষা কার্যক্রমের বাইরে থাকা শিক্ষার্থীদের বৃহত্তর অংশটিকে মহামারী শেষে আবার শিক্ষা কার্যক্রমে ফেরত আনা সহজসাধ্য হবে না বলেও তারা মনে করছেন।

শিক্ষকদের অনেকেই জানান, অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীকে ক্লাস ছাড়াই পাঠ-কার্যক্রমে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে পর্যাপ্ত অবকাঠামো সুবিধা না থাকা, ইন্টারনেটের মন্থরগতি এবং ডিভাইসের অভাবে অধিকাংশ দরিদ্র শিক্ষার্থী-ই অনলাইন ক্লাসের কার্যক্রমে যথাযথ অংশগ্রহণ করতে পারেনি। শতভাগ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত না করেই চলছে অনলাইন ক্লাস-পরীক্ষা। এতে শিখন পঠনের শতভাগ ফায়দা শিক্ষার্থীরা লাভ করতে পারছে না।

গত ২৯ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রী ডা: দীপু মনি জানান, জুনে এসএসসি এবং আগস্টে অনুষ্ঠিত হবে এইচএসসি পরীক্ষা। সেই লক্ষ্যে সংক্ষিপ্ত একটি সিলেবাসও প্রস্তুত করা হচ্ছে। আর ফেব্রুয়ারিতে সীমিত পরিসরে স্কুল খোলারও ঘোষণা দিয়েছিলেন শিক্ষা মন্ত্রী। কিন্তু ওই ঘোষণার পর দীর্ঘ দিন পার হলেও এখনো সিলেবাস কিংবা স্কুল খোলার কোনো নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়নি বরং এরপরে সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মার্চের আগে খুলছে না কোনো স্কুল-কলেজ। ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে এখনো একটি দোদুল্যমান অবস্থাই রয়ে গেছে।

অবশ্য এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নারায়ণ চন্দ্র সাহা জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের নতুন কারিকুলামের আলোকে নতুন বইয়ের অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি করা হয়েছে। এই অ্যাসাইনমেন্ট আমরা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরে পাঠিয়ে দিয়েছি। সেখান থেকেই মাউশির ওয়েবসাইটে এই অ্যাসাইনমেন্ট শিক্ষার্থীরা সরাসরি প্রিন্ট করে নেবে অথবা স্কুলের কিংবা শিক্ষকের সহায়তায় তারা এই নতুন অ্যাসাইনমেন্ট পাবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Smart iT Host