1. admin@ddnnewsbd.com : admin : ddn newsbd
  2. mamahbubulalom@gmail.com : mahbubul alom : mahbubul alom
শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৫ অপরাহ্ন

মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের পাশে ফেসবুক

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেটের সময় : শনিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২১
  • ৫২৮ সময় দর্শন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ফেসবুক ব্যবহারকারীরা এখন মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলার জন্য সহজেই হেল্পলাইনে যোগাযোগ করতে পারে। নতুন কিছু মানসিক স্বাস্থ্যসেবা চালু করার জন্য ফেসবুক চলতি মাসে বাংলাদেশি কয়েকটি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ফেসবুকের পক্ষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল শুক্রবার বলা হয়, জনসাধারণকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়ার লক্ষ্যে ফেসবুকের যে চলমান প্রচেষ্টা, এটি তারই একটি অংশ। ২০১৯ সালে পরিচালিত একটি জরিপে দেখা যায়, বাংলাদেশের প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে প্রায় ১৭ শতাংশ বিভিন্ন রকম মানসিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যায় ভুগে থাকে। তাদের মধ্যে ৯২ শতাংশ কাউন্সেলিং বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় সাহায্য নেয় না। ফেসবুকের মাধ্যমে এখন থেকে ব্যবহারকারীরা সরাসরি জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, মনের বন্ধু এবং কান পেতে রইয়ের মতো সংস্থার সহায়তা পেতে পারে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো আত্মহত্যা, হতাশা, উদ্বেগ এবং অন্যান্য মানসিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যায় নিয়মিত কাউন্সেলিং সেবা দিয়ে আসছে।
বিষয়টি সম্পর্কে ফেসবুকের গ্লোবাল সেফটি পলিসির পরিচালক করুনা নেইন বলেন, ‘এই বছর মহামারি মানুষকে বিচ্ছিন্ন জীবনযাপনের পাশাপাশি নানাবিধ ক্ষতির সম্মুখীন হতে বাধ্য করেছে। আমরা তাদের জানাতে চাই যে তারা একা নয়, আমরা তাদের আশপাশের এমন প্রতিষ্ঠান ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিতে চাই, যারা তাদের কথা শুনবে এবং সহযোগিতা করতে পারবে।’ ফেসবুক মানসিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যার সমাধান করতে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কাজ করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন রকম ফিচার তৈরি করছে। ফেসবুকের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডসে আত্মহত্যা ও আত্মঘাতী কনটেন্ট প্রতিরোধী নীতিমালা রয়েছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তাদের কাজকে আরো কার্যকর করতে ফেসবুক এবার সূচনা ফাউন্ডেশন ও মনের বন্ধুর মতো স্থানীয় অলাভজনক সংস্থার সঙ্গে কাজ করেছে। সূচনা ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন ও ডাব্লিউএইচওর মানসিক স্বাস্থ্য এবং অটিজমবিষয়ক ডিরেক্টর জেনারেলের উপদেষ্টা সায়মা ওয়াজেদ বলেন, ‘মানসিক অবসাদ মোকাবেলায় সবচেয়ে ভালো উপায়গুলোর একটি হলো পরিবার ও বন্ধুদের সংস্পর্শে থাকা। বাংলাদেশের মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে ফেসবুকের সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমরা আনন্দিত। এ বিষয়ে কাজ করে এমন প্রতিষ্ঠান ও বিশেষজ্ঞের সঙ্গে সাধারণ মানুষের সহজে যোগাযোগ করতে পারা মানসিক স্বাস্থ্য নিশ্চিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ।
’ জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, ‘সমাজে মানসিক সমস্যা বাড়ছে; কিন্তু মানসিক স্বাস্থ্যসেবা সীমিত। মানসিক সমস্যা সম্পর্কে অজ্ঞতা ও ভুল ধারণা সমস্যাটিকে আরো প্রকট করে তুলছে। সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যম মানসিক সমস্যা সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টি করে এ সমস্যা মোকাবেলায় সহায়তা করতে পারে। সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম ফেসবুককে এই ব্যাপারে ভূমিকা রাখার জন্য আমি স্বাগত জানাই।’ জানা যায়, বিশ্বব্যাপী মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করছে এ রকম সংস্থাগুলোর সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ স্থাপন করতে ফেসবুক বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নিয়েছে। মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর মহামারির যে বিরূপ প্রভাব পড়েছে, তা কাটিয়ে উঠতে সবাইকে সহযোগিতা করাই এ উদ্যোগের লক্ষ্য। নিজের ক্ষতিসাধনমূলক ছবি যেন কেউ পোস্ট করতে না পারে, সে বিষয়ে ফেসবুক গত বছর কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। কারণ এ ধরনের ছবি অন্যকে মনের অজান্তেই আত্মঘাতী আচরণ করতে উদ্বুদ্ধ করতে পারে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থা ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সাধারণ মানুষকে আরো সহজে যোগাযোগ করিয়ে দিতে কাজ করছে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ফেসবুক তাদের সেফটি সেন্টার ভিজিট করতে বলেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Smart iT Host