রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর পাবনা-৩ আসনে নির্বাচনী প্রচারণা আর অনিয়ম-দূর্নীতি আর চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে প্রথম যিনি মাঠে নামেন,তিনি হলেন আলহাজ্ব মোঃ হাসানুল ইসলাম রাজা। বিএনপির তথা ধানের শীষের মনোনয়নপ্রত্যাশী রাজা এক সময় বিএনপির নেতা ছিলেন।পরবর্তীতে বিএনপি’র সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পান।
বিএনপির মনোনয়নের আশায় তিনি পাবনা-৩ (চাটমোহর-ভাঙ্গুড়া-ফরিদপুর) আসনের সর্বত্র অসংখ্য বিলবোর্ড টাঙিয়ে ধানের শীষের ভোট প্রার্থনা করেন। বিএনপি ও ধানের শেিষর পক্ষে ব্যাপক প্রচারণা চালান। কিন্তু দলের মনোনয়নতিনি পাননি। মনোনয়নবঞ্চিত আলহাজ্ব মো. হাসানুল ইসলাম রাজা এবার ট্রাকে উঠলেন। প্রার্থী হলেন গণধিকার পরিষদের। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাত নয়টার দিকে গণধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে তিনি দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।
এ সময় গণআধিকার পরিষদের (জিওপি) কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নুরুল হক নুর (ভিপি নুর),কেন্দ্রীয় কমিটির মুখপাত্র ফারুক হাসানসহ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
গণঅধিকার পরিষদ চাটমোহর উপজেলা কমিটির সাবেক সভাপতি মো.সোহানুর রহমান সাধ দলীয় মনোনয়ন ফরম উত্তোলনের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
চাটমোহরের সন্তান সেন্ট্রি সিকিউরিটি সার্ভিসেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক,বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা আলহাজ্ব মো. হাসানুল ইসলাম রাজা আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পাবনা-৩ এলাকায় ধানের শীষের ভোট প্রার্থনা করে শত শত বিলবোর্ড লাগানোসহ ব্যাপক প্রচারণা চালান। ঘুষ, দুর্নীতি,অনিয়ম,সন্ত্রাস,দখলদার, চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন। পাশাপাশি পাবনা-৩ আসনে কৃষকদলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফর তুহিনকে বিএনপি দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করলে স্থানীয় প্রার্থীর দাবিতে তিনি আন্দোলন করেন।
বিএনপি তাকে গুরুত্ব না দেওয়ায় তিনি নির্বাচনের লক্ষে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুসা নাসের চৌধুরীর দপ্তর থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। অবশেষে দলীয় প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়ার জন্য গণঅধিকার পরিষদের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। এ নিয়ে সরব আলোচনা চলছে চাটমোহর,ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলাতে।
সূত্র: এফএনএস