উত্তরাঞ্চলের মধ্যে পেঁয়াজ আবাদে প্রথম পাবনার সুজানগরের হাট-বাজারে আগাম আবাদ করা মুড়িকাটা নতুন পেঁয়াজ উঠা শুরু হয়েছে। তবে হাট-বাজারে নতুন ওই পেঁয়াজ উঠলেও দাম আগের মতই চড়া।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ১৬‘শ ৭০হেক্টর জমিতে আগাম মুড়িকাটা পেঁয়াজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আবাদ হয়েছে ১৭‘শ হেক্টর জমিতে। ইতিমধ্যে উঁচু জমিতে আবাদ করা ওই পেঁয়াজ উপজেলার হাট-বাজারে উঠা শুরু হয়েছে।
উপজেলার গোপালপুর গ্রামের কৃষক বিল্লাল হোসেন জানান কৃষকরা সাধারণত ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে মুড়িকাটা পেঁয়াজ উঠানো শুরু করে। কিন্তু বর্তমানে পেঁয়াজের বাজার ভাল হওয়ায় কৃষকরা নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকেইে ওই পেঁয়াজ উঠানো শুরু করেছে। বিশেষ করে কৃষকরা মৌসুমী পেঁয়াজের লোকসান পোষাতে আগেভাগে জমি থেকে ওই পেঁয়াজ উঠায়ে বিক্রি করছে
উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের কৃষক কামরুজ্জামান বলেন গত বছর এ সময় উপজেলার হাট-বাজারে প্রতিমণ মুড়িকাটা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯‘শ থেকে ১হাজার টাকা দরে। কিন্তু এ বছর সেই একই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতিমণ ২৬ থেকে ২৭‘শ টাকা দরে। আর এই চড়া দামের কারণে কৃষকরা মাঠ থেকে কাঁচা অপরিপক্ক পেঁয়াজ উঠায়ে বিক্রি করছে। হাট-বাজারে মুড়িকাটা পেঁয়াজের এই চড়া দামে কৃষকরা অত্যন্ত খুশি। তবে ভোক্তা পেঁয়াজের বর্তমান এই বাজারে কিছুটা হতাশ।
ভুক্তভোগী ক্রেতারা বলেন গত ২/৩মাস হলো হাট-বাজারে প্রতিমণ পুরাতন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫‘শ থেকে ৪হাজার টাকা দরে। ভেবে ছিলাম বাজারে মুড়িকাটা পেঁয়াজ উঠলে দাম কমবে। কিন্তু মুড়িকাটা পেঁয়াজের দাম তুলনামূলকভাকে আরো বেশি। তবে পেঁয়াজ চাষীরা বলছেন উৎপাদন খরচ হিসাবে মুড়িকাটা পেঁয়াজের বর্তমান বাজার স্বাভাবিক।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন ১বিঘা জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজ আবাদ করতে সার, বীজ ও শ্রমিকসহ খরচ হয় ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা। সেই হিসাবে মুড়িকাটা পেঁয়াজের বর্তমান বাজার স্বাভাবিক।