উপজেলা লাইভস্টক অফিসার ডা. রুমানা আক্তার জানান,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার সকালে তারা কারখানার কাছাকাছি অপেক্ষা করেন। পরে নকল দুধ তৈরির ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে পুলিশ এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্টেট্রকে খবর দেওয়া হয়। দুপুরে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে জব্দকৃত মালামাল ধ্বংস করা হয়।
উপজেলা স্যানিটারি ইনস্পেকটর মো. নুরুল ইসলাম জানান,কারখানাটি উপজেলার ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের কৈডাঙ্গা রেলগেটের পাশে অবস্থিত। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও পুলিশের সহায়তায় ঘটনাস্থল থেকে লিক্যুইড গ্লুকোজ(জেলি)১২০০ লিটার, সয়াবিন তেল ১৪৭ লিটার,লবণ ১০০ কেজি,পাম ওয়েল ২১০ কেজি জব্দ করা হয়। এছাড়া ৬০ লিটার নকল দুধ এবং গ্লুকোজ-জেলি ও সয়াবিন মিশ্রিত ৩০ লিটার প্রক্রিয়াধীন কৃত্তিম দুধ জব্দ করা হয়।
প্রাণি সম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. আশরাফুল ইসলাম জানান,ঐ কারখানা থেকে যে সমস্ত উপকরাণি পাওয়া গেছে তার সবগুলোই নকল দুধ তৈরির উপকরণ হিসাবে ব্যবহৃত হতো।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান বলেন,এই নকল দুধের কারখানায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ উপকরণাদি জব্দ করা হয়। কারখানার মালিক আবুল বাশার পলাতক থাকায় ব্যবসায়িক সহযোগি হিসাবে তার স্ত্রী সেলিনা খাতুনকে বিশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেইসঙ্গে জব্দকৃত মালামাল নষ্ট করা হয়েছে। এ সময় প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. রুমানা আক্তার,সেনিটারী পরিদর্শক নুরুল ইসলাম ও পুলিশের এসআই আলামিন হোসেন তাকে সহযোগিতা করেন।
ভাঙ্গুড়া উপজেলার ছোটবিশাকোলসহ বিভিন্ন স্থানে এরকম নকল দুধের কারখানা রয়েছে এবং সেখান থেকে কৃত্রিম দুধ তৈরি করে বিক্রি করা হয়। এমন কি এসব দুধ ক্রয় কোম্পানিসহ দেশের নানা জায়গায় সরবরাহ করে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে কিছু অসাধু কারবারিরা।
ফটো ক্যাপশন- ভাঙ্গুড়া(পাবনা) নকল দুধের কারখানায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার(ভ‚মি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান।।