পাবনার সুজানগর উপজেলার সাতবাড়িয়া এলাকায় পদ্মা নদীর ভয়াবহ ভাঙন পরিস্থিতি পরিদর্শন করেছেন শেকড় পাবনা ফাউন্ডেশনের শীর্ষ নেতারা।
শনিবার (২২ নভেম্বর) এলাকাটি পরিদর্শন করেন ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা ও সরকারের সাবেক সচিব ড. শরিফুল আলম এবং জাতিসংঘের সাবেক দুই কর্মকর্তা ও সংগঠনের সভাপতি খান হাবিব মোস্তফা। এ সময় স্থানীয় ব্যবসায়ী, শিক্ষক, সমাজসেবক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ঝুঁকিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বাজার ও হাজারো বাড়িঘর
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সাতবাড়িয়া এলাকায় প্রায় দুই কিলোমিটারজুড়ে নদীভাঙন অব্যাহত রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ভাঙন চলায় উদ্বেগে রয়েছে পুরো ইউনিয়নের মানুষ।
উপস্থিত নেতৃবৃন্দ পরিদর্শনকারী দলকে জানান, ভাঙন এভাবে চলতে থাকলে সাতবাড়িয়ার তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ইউনিয়ন পরিষদ, ভূমি অফিস, স্থানীয় বাজার এবং কয়েক হাজার বসতবাড়ি বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ইতোমধ্যে বহু পরিবার নদীগর্ভে ভিটেমাটি হারিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে।
ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস
পরিদর্শন শেষে ড. শরিফুল আলম ও খান হাবিব মোস্তফা স্থানীয়দের আশ্বস্ত করেন যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করে নদীভাঙন রোধে দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের প্রচেষ্টা চালানো হবে।
তারা বলেন, পদ্মার করাল গ্রাস থামাতে জরুরি ভিত্তিতে সুরক্ষা বাঁধ, জিওব্যাগ ফেলা এবং টেকসই কাঠামো নির্মাণ অত্যন্ত প্রয়োজন।
শেকড় পাবনা ফাউন্ডেশনের দীর্ঘদিনের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড
উল্লেখ্য, শেকড় পাবনা ফাউন্ডেশন বহুদিন ধরে পাবনা জেলার উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক সহায়তা কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্ব সাতবাড়িয়ার ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন এবং পরিস্থিতি সরেজমিনে মূল্যায়ন করেন।