ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধি: যার হেসে খেলে উচ্ছসিত হবার বয়স,তারই কপালে এখন চিন্তার ভাঁজ। জীবন কি থেমে যাবে ! নাকি ফিরে পাবে শৈশবের হৈহুল্লোর ও স্বপ্ন পূরণে স্কুলে সহপাঠীদের সাথে পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়া। গল্পটি দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী নুশরাত জাহানের। সে সাত বছর বয়সে আক্রান্ত হয়েছে ঘাতক ব্যাধি ব্লাড ক্যান্সারে।
নুশরাত পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার পুর্ব আদাবড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী। তার পিতা আশরাফ আলী এই গ্রামের একজন ভূমিহীন বাসিন্দা। সম্প্রতি নুশরাতের শরীর ভালো চলছিল না। তখন প্রধান শিক্ষকের পরামর্শে আশরাফ আলী মেয়েকে নিয়ে যান ঢাকা মেডিকেল কলেজে বিএমটি,হেমাটোলজী ইউনিট প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক ডা.মো. কামরুজ্জামানের কাছে। অতপর পরীক্ষা নিরীক্ষা,পরে জানা গেল নুশরাত ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত। বর্তমানে নুশরাত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আন্ত:বিভাগে চিকিৎসাধীন।
নুশরাতের পিতা আশরাফ আলী বলেন,তার মেয়ের চিকিৎসার জন্য এখন প্রায় দশ লক্ষ টাকা লাগবে। অথচ টাকা সংস্থানের কোনো সংগতি নাই তার। মেয়ের জীবন বাঁচাতে তিনি উপায়হীন হয়ে পড়েছেন। এজন্য তিনি বিত্তবানদের কাছে চিকিৎসা সহায়তা কামনা করেছেন।

পূর্ব আদাবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আল-আমিন হোসাইন বলেন,নুশরাতের বাবা খুবই দরিদ্র। এখন প্রতিদিন নুশরাতকে কেমোথেরাপি ও দশ হাজার টাকা মুল্যের ইনজেকশন দিতে হচ্ছে। কিছু টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে কিন্তু তা খুবই অপ্রতুল। মেয়েটির জীবন বাঁচাতে তার পাশে দাঁড়ানোর জন্য তিনি সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।।