ভিডিওতে দেখা গেছে মৃত্যুর পূর্বে প্রেমিক স্বপনের বেঁচে থাকার আকুতি। প্রেমের স্বীকৃতি না পেয়ে প্রেমিকার বাড়িতে গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে যুবকটি মৃত্যুর যন্ত্রণায় ছটফট করলেও প্রেমিকার পরিবারের কেউ বা প্রতিবেশীরা তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি। স্থানীয়রা দাঁড়িয়ে মৃত্যুকে বিনোদন হিসেবে উপভোগ করছে এবং মৃত্যুর ভিডিও করছে।সবাই যে সময় ধরে মৃত্যুর ভিডিও করছেন ততো সময় যদি তাকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হতো তাহলে হয়তো সে বেঁচে যেত এমনটি ধারণা এলাকাবাসীর।
এ ঘটনার ভিডিওটি বুধবার (৮অক্টোবর) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের সামান্যপাড়া নামক গ্রামে সোমবার(৬অক্টোবর)এ ঘটনা ঘটে।মৃত স্বপন প্রামানিক(৩৫)পাবনা সদর উপজেলার খয়েরসুতী গ্রামের ইমাম প্রামানিকের ছেলে।এ ঘটনায় প্রেমিকা পলাতক রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,উপজেলার সামান্য পাড়া গ্রামের আহাদ শেখের ছেলে প্রবাসী আরিফ শেখের স্ত্রী রত্না খাতুন (২৫)এর সাথে পরকীয়া সম্পর্ক হয় পাবনা সদর উপজেলার খয়েরসুতী গ্রামের ইমাম প্রামানিকের ছেলে স্বপনের। রত্নার স্বামী আরিফ শেখ সৌদি আরব থাকায় স্বপনের সাথে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন রত্না খাতুন। তাদের মধ্যে সম্পর্ক চলে দীর্ঘদিন ধরে।এ সম্পর্কের সূত্রে প্রেমিক স্বপনকে নিয়ে সংসার করার প্রতিশ্রুতি দেন প্রেমিকা রত্না।এ ঘটনায় প্রেমিক স্বপন প্রেমিকার রত্নার পেছনে অর্থ ও সময় উভয়ই নষ্ট করেন রত্নার চাহিদা অনুযায়ী। দীর্ঘ দিনের প্রেমের সম্পর্কে এক পর্যায়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন প্রেমিকা রত্না খাতুন। স্বপন প্রেমের স্বীকৃতি না পেয়ে এবং প্রেমিকা রত্নার সাথে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হয়ে সোমবার(৬অক্টোবর)সকালে প্রেমিকার খোঁজে রত্নার নিজ বাড়ি সমান্যপাড়া আসেন। সেখানে গিয়ে রত্না খাতুনের ঘরে ঢুকে প্রথমে নিজের হাত কাটেন প্রেমিক স্বপন। এতেও প্রেমিকার মনে ঠাঁই না পেয়ে এলাকাবাসীর সামনে নিজের কাছে থাকা গ্যাস ট্যাবলেট খান স্বপন।এতে স্বপন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে এলাকাবাসী তাকে স্থানীয় ক্লিনিকে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।সাঁথিয়া থানা পুলিশ খবর পেয়ে স্বপনের মরদেহ উদ্ধার করে পাবনা মর্গে প্রেরণ করেন।
রত্নার স্বামী প্রবাসী আরিফের মামা বকুল হোসেন বলেন,স্বপনের গ্যাস ট্যাবলেট খাওয়ার কথা শুনে আমি ঘটনাস্থলে আসি এবং মুহুর্তের মধ্যে সে মারা যায়।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)আনিুসর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,এ ঘটনায় ওইদিন রাতে স্বপনের স্ত্রী মায়া খাতুন বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করেছেন।ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর সে অনুযায়ী পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।