1. admin@ddnnewsbd.com : admin : ddn newsbd
  2. mamahbubulalom@gmail.com : mahbubul alom : mahbubul alom
সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:২৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
জেলা প্রাইভেট হসপিটাল এসোসিয়েশনের শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন কমিটিকে অনুমোদন ভাঙ্গুড়ায় গণধর্ষণের শিকার এক কিশোরী,আটক ১ রাজশাহীতে এনসিপির পাঁচ নেতাকে শোকজ চলতি সপ্তাহের মধ্যেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা সুজানগরে উঠা শুরু হয়েছে মুড়িকাটা পেঁয়াজ রাষ্ট্রকে ধর্মের নামে বিভাজনের চেষ্টা চলছে, সতর্ক থাকতে বললেন মির্জা ফখরুল কওমির দাওরায়ে হাদিস সনদধারীরাও কাজি পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন নির্বাচনে যেই বিজয়ী হোক জাতির পাশে দাঁড়াবো : সড়ক ও সেতু উপদেষ্টা হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে কটূক্তির দায়ে জাবি শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কার দেশে ফিরবেন তারেক রহমান— বিএনপি তার নেতৃত্বেই নির্বাচনে অংশ নেবে: খসরু

চারঘাটে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান, অপ্রতুল বেঞ্চে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ

ডিডিএন ডেস্ক:
  • আপডেটের সময় : শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৮২ সময় দর্শন

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার হাবিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একমাত্র ভবনটি সাত বছর আগে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হলেও এখনো সেখানে চলছে পাঠদান। দেয়াল ও ছাদের ফাটল, খসে পড়া পলেস্তারা, কোথাও কোথাও বেরিয়ে আসা রড—সব মিলিয়ে ভবনটি এখন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য আতঙ্কের আরেক নাম।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিদ্যালয়ের একতলা ভবন নির্মিত হয় ১৯৯৩ সালে। ২০১৮ সালে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে। তবুও ২১৮ জন শিক্ষার্থী এখনো ওই জরাজীর্ণ ভবনে মাত্র ১৭ সেট বেঞ্চে পড়াশোনা করছে। নির্মাণকালে দেওয়া ৩৯ সেট বেঞ্চের মধ্যে ২২টি নষ্ট হয়ে গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, তিন কক্ষবিশিষ্ট ভবনের একটি কক্ষকে ছোট করে অফিস রুম তৈরি করা হয়েছে। ফলে শিক্ষকরা গাদাগাদি করে সেখানে বসছেন। ক্লাস চলাকালে ছাদ থেকে সিমেন্ট খসে পড়ছে, নাজুক ফ্যানের রড যেকোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি করছে।

সহকারী শিক্ষিকা শরিফা খাতুন জানান, কিছুদিন আগে ক্লাস নেয়ার সময় ছাদের রডসহ ফ্যান খুলে পড়ে তিনি আহত হন। তিনি বলেন, “আমি বেঁচে গেছি, কিন্তু প্রতিদিনই ভয় হয়—শিক্ষার্থীদের কোনো ক্ষতি হয়ে গেলে কী জবাব দেবো?” ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী সোহানুর রহমান জানায়, বই-খাতা ভিজে যায় বৃষ্টির পানিতে। আবার বেঞ্চ সংকটে গাদাগাদি করে ৫-৬ জন বসতে হয়।

অভিভাবক রাবেয়া খাতুন বলেন, “স্কুল নিরাপদ জায়গা জানতাম। কিন্তু এখন স্কুল মানেই আমাদের কাছে ভয়। মেয়েকে ভেতরে রেখে আমি বাইরে অপেক্ষা করি।”

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, এখানে শিক্ষার্থী থাকলেও ক্লাসরুম ও বেঞ্চের অভাব ভয়াবহ। অন্য বিদ্যালয়ে অব্যবহৃত ভবন থাকলেও এ বিদ্যালয়টি এখনো অবহেলিত।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সাইফুর রহমান জানান, “বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরেও প্রতিকার পাইনি। ১৯৯৪ সালের পর নতুন বেঞ্চও পাওয়া যায়নি। শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে।”

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “ভবনের চাহিদার তালিকায় এ বিদ্যালয়ের নাম প্রথমেই পাঠানো হয়। কিন্তু এ বছরও নতুন ভবনের বরাদ্দ হয়নি।”

সূত্র: এফএনএস।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Smart iT Host