চাঁদাবাজি নয়, নিজের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা চেয়েছিলাম। কিন্তু দুঃখজনকভাবে তিনি আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও প্রাণনাশের হুমকির মিথ্যা অভিযোগে থানায় জিডি করেছেন।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে চাঁদাবাজিতে অভিযুক্ত ভাঙ্গুড়া পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা মোটরশ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোতালেব হোসেন এমন দাবি করেন।
এর আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর একেএম হানিফ বাবলু নামের ভাঙ্গুড়ার এক ধনাঢ্য ব্যবসায়ী ওই বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবি ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে থানায় জিডি করেন।
বিকেল সাড়ে ৫টায় ভাঙ্গুড়া বাসস্ট্যান্ডে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ওই বিএনপি নেতা বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। রাজনৈতিক নিপীড়নের কারণে আমি কর্মহীন থাকায় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। কিছুদিন আগে হার্টের অসুখে আমি অসুস্থ হয়ে পড়লে আমাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা আমাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার পরামর্শ দেন। তাই নিজের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনের জন্য স্থানীয় শুভাকাঙ্ক্ষীদের সঙ্গে আলোচনা করি। এরপর গত ৪ সেপ্টেম্বর ব্যবসায়ী কেএম হানিফ বাবলু কাছে আমার অসুস্থতার কথা বলে চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা চেয়েছিলাম। কিন্তু দুঃখজনকভাবে তিনি আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও প্রাণনাশের হুমকির মিথ্যা অভিযোগে থানায় জিডি করেন।
সংবাদ সম্মেলন তিনি দাবি করেন, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যমূলক ও আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করার ষড়যন্ত্র।
এ সময় জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা মাসুদ রানা, পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম সিকদার, বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন শরপু, আলিমুদ্দিন,আব্দুল আজিজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে অভিযোগকারী ব্যবসায়ী হানিফ বাবলু বলেন, ‘বিএনপি নেতা মোতালেব আমার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা চেয়েছিল। আমি টাকা দিতে রাজি হইনি। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার দু’টি গাড়ি ভেঙে ফেলা এবং আমাকেও মেরে ফেলার হুমকি দেন। তাই বাধ্য হয়ে আমি থানায় জিডি করেছি।’
এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে।