পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার মধ্যদিয়ে প্রবাহিত ইছামতি নদী থেকে মাছ চাষের বাঁশ ও জালের অবৈধ বাঁধ অপসারণ শুরু করেছেন উপজেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার( ২সেপ্টেম্বর ) সাঁথিয়া পৌরসভা সদরের সেতু থেকে বাঁধ অপসারণের কাজ শুরু করা হয়।সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিজু তামান্না এ কাজের উদ্বোধন করেন। এ সময় সাঁথিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শামসুর রহমান ও থানা পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।
বাঁধ অপসারণে সন্তষ্টি প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। এলাকাবাসী বলেন, দীর্ঘ দিন নদী লীজ নিয়ে বাঁধ দিয়ে মৎস্য চাষ করা হতো। এতে বদ্ধ পানিতে কচুরিপানা জমে পানি নষ্ট হতো এবং মশা ও মাছির বংশ বৃদ্ধি পেত। নষ্ট পানির কারণে অনেক সময় চর্ম রোগসহ বিভিন্ন রোগ দেখা দিত নদীর পানি ব্যবহার করা মানুষের মধ্যে। এছাড়া পরিস্কার পানি ব্যবহার থেকে বঞ্চিত হতো স্থানীয়রা।
সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিজু তামান্না জানান, বিগত সময়ে ইছামতি নদীর বিভিন্ন অংশ ইজারা দেওয়া হতো। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এ বছর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নদীটির কোন অংশই লীজ প্রদান করা হয়নি বা কেউ নেয়নি। যেহতেু এবছর ইজারা দেওয়া হয়নি সেহেতু বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করার কোন সুযোগ নেই। পাবনা জেলা প্রশাসকের নির্দেশে নদী থেকে সকল অস্থায়ী বাঁধ অপসারণ করা হচ্ছে। সরকারি জিনিস যেন কেউ অবৈধভাবে দখল করে না রাখতে পারে এজন্যই আমাদের এই উচ্ছেদ অভিযান। ইছামতি নদীটি এলাকাবাসীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সেচখাল। অবৈধ বাঁধ উচ্ছেদের ফলে নদী পারের জনসাধারণ নিজেরা মৎস্য শিকার ও পানির সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারবে।
উল্লেখ্য,১৯৯০ সালে পাউবো ইছামতী নদীর ৪২ কিলোমিটার অংশ পাবনা সেচ ও পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের প্রধান সেচখালে রূপান্তরিত করে। সেচখালে পরিণত হওয়ার পরে নদীর দুই পাড়ের অসংখ্য মানুষ সেচ ও গৃহস্থালির কাজে এর পানি ব্যবহার করে আসছে।